নড়াইল লোহাগড়া থানার রামপুর এলাকায় সাংবাদিক জাহিদুল হক রনি তার নিজস্ব জমি নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন। গত ১৬ অক্টোবর এবং ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে পরপর দু'দিন এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে। বিষয়টি নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ অক্টোবর বেলা ২টার দিকে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বেআইনিভাবে সাংবাদিক জাহিদুল হক রনির বাউন্ডারিকৃত জমিতে প্রবেশ করে এবং ঘর তৈরি করার মালামাল নিয়ে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে। বিষয়টি জানতে পেরে সাংবাদিক জাহিদুল হক রনি তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন। তখন পরিস্থিতির চাপে বিবাদীরা ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়।
তবে, ঘটনার এখানেই সমাপ্তি ঘটেনি। অভিযোগ অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে বিবাদীরা পুনরায় একযোগে তার জমিতে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে এবং টিন ও বাঁশ দিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ করতে থাকে। সাংবাদিক জাহিদুল হক রনি বাঁধা দিতে গেলে বিবাদীরা তাকে এবং তার লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে এবং মারধর করার চেষ্টা করে। তাদেরকে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবাদীদের মধ্যে অন্যতম অভিযুক্তরা হলেন সুজন ফকির, পিতা মিরাজ ফকির, এবং সাইদ (পিতা অজ্ঞাত), যাদের সাথে আরও অজ্ঞাত ৭-৮ জন ব্যক্তি যুক্ত ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। অভিযোগকারীর আশঙ্কা, বিবাদীরা যে কোনো সময় তার এবং তার লোকজনের উপর বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে এবং তার জমি জোরপূর্বক দখল করতে পারে।
সাংবাদিক জাহিদুল হক রনি লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এ ঘটনার তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ বন্ধ করা যায় এবং সাধারণ মানুষ জমি ও সম্পত্তি নিয়ে নিরাপদে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপদেষ্টা ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ। সম্পাদক : সরকার মো. আব্দুল মা'বুদ জীবন। প্রকাশক : মোছা. বর্না খাতুন। নির্বাহী সম্পাদক : টুটুল হুমায়ুন। ঠিকানা : বাড়ী, নীল অপরাজিতা, ২১৯/৪- ক দক্ষিণ পীরেরবাগ, আগারগাঁও ঢাকা, যোগাযোগ : +৮৮০১৮১৪৯৯০৫৪৬, ইমেইল : smjiboneditor@gmail.com
© All rights reserved © NagorikKontho