রাজধানীর মিরপুরে দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্য সচিব গোলাম কিবরিয়া (৪৭) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি জনি ভূঁইয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় মামলার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন জনি। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে ছিলেন পলাতক আসামি মফিজুর রহমান ওরফে মামুন, যিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। আধিপত্য বিস্তার ও আর্থিক লেনদেনের বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে পরিকল্পিতভাবে কিবরিয়াকে হত্যা করান তিনি।
পুলিশ জানায়, জনি ও আরও কয়েকজন ব্যক্তিকে ভাড়ায় খুন করার জন্য চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডে জনি সরাসরি অংশ নেওয়ার বিষয়টি তিনি নিজের জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন।
মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, “আটক জনি ভূঁইয়া হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তদন্তে নেপথ্যের প্রভাবশালী ব্যক্তিদেরও শনাক্ত করা হয়েছে।”
গত সোমবার পল্লবী থানার সেকশন-১২ এলাকা থেকে জনিকে আটক করে স্থানীয় জনগণ পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। একই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটে মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের সি ব্লকে দোকানের ভেতরে ঢুকে গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পরদিন মঙ্গলবার নিহত কিবরিয়ার স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় এজহারনামীয় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে— জনি ভূঁইয়া, সোহেল, সোহাগ, মাসুম ও রোকন। এছাড়া আরও ৭–৮ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ অবস্থায় এসে গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা করেছে আসামিরা।
উপদেষ্টা ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ। সম্পাদক : সরকার মো. আব্দুল মা'বুদ জীবন। প্রকাশক : মোছা. বর্না খাতুন। নির্বাহী সম্পাদক : টুটুল হুমায়ুন। ঠিকানা : বাড়ী, নীল অপরাজিতা, ২১৯/৪- ক দক্ষিণ পীরেরবাগ, আগারগাঁও ঢাকা, যোগাযোগ : +৮৮০১৮১৪৯৯০৫৪৬, ইমেইল : smjiboneditor@gmail.com
© All rights reserved © NagorikKontho