মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অসহায়ের জমি প্রতারনামূলক দলিলের মাধ্যমে দখলে নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।জানা যায়,শ্রীধরপুর নিবাসী মৃত আলাউদ্দিন খান পিতা,মৃত লালু খান এবং তার শ্যালক শুক্কুর আলী ২০০৭ সালে শেখরনগর ফৈনপুর নিবাসী মোঃ রাজ্জাক হতে ১৪.৭৫ অংশ করে দুই দলিলে ২৯ শতক জমির মালিক হয়ে নামজারীর মাধ্যমে জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন।আলাউদ্দিন এর মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে মোঃ আল আমিন (২৭) এবং রিফাত (২৫) এক কণ্যা হাবিবা আক্তার(১৪) এবং তার স্ত্রী ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিকানা লাভ করেন।স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বাড়ৈখালী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের সীমানার সাথে তাদের জমি হওয়ায় লুলুপ দৃষ্টি পরে জমির ওপর।পারিবারিকভাবে বিধস্ত আলাউদ্দিনের পুত্র আল আমিন কে চেয়ারম্যান হিসেবে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কথা বলে তার ওয়ারিশ সম্পত্তি বিক্রি করার প্ররোচনা দিয়ে ১৪,৭৫ শতক জমি হতে তার অংশের ৬.৪৫ শতক জমি তার আপন ভাই দিপু আহমেদের সাথে ৫ লক্ষ টাকা বায়না চুক্তি করতে বাধ্য করেন।অন্য দিকে মৃত আলাউদ্দিন এর শ্যালক হাজেরা বেগমের ভাই মোঃ শুক্কুর আলী কে গোপনে ভূল বুঝিয়ে ১৪.৭৫ শতক জমি লিখে নেন যার দলিল নং৮৬৫২ তারিখ ২২/৮/২২। দলিলে জমির মূল্য ৩২ লাখ উল্লেখ করা হলেও বিক্রেতা পান মাত্র ১১ লাখ টাকা অন্য দিকে আল আমিনের সাথে জমি মূল্য বায়নানামায় ৫ লাখ উল্লেখ করে দলিল শেষে তাকে ৪ লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও দলিলে উল্লেখ করা হয় ১৭ লক্ষ টাকা।ফারুকের সাথে বায়না চুক্তি হলেও আল আমিন এর জমি রেজিষ্ট্রেশন হয় দিপু আহমেদের নামে।যার দলিল নং -৮৬৫৩। এ সকল অপকর্মে টাকার বিনিময়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন তৎকাল দুর্নীতিবাজ সাব -রেজিস্ট্রার রেহানা বেগম।এ সবই ঘটে আলাউদ্দিন এর ওয়ারিশ হাজেরা গং দের অগোচরে।দলিল সম্পাদন করে জমি দখলে নিতে গেলে বিষয় টি জানতে পেরে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করতে চাইলে শুরু হয় হুমকি- ধামকি।এতে কাজ না হওয়ায় রাতের আঁধারে হাজেরার বসত বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেও স্বৈরাচার চেয়ারম্যান এর ক্ষমতার নিকট থমকে যায় তাদের অধিকার।আগুন লাগানোর ঘটনা হতে বাঁচতে এক পর্যায়ে জমি ফিরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ফারুক।হাজেরা বেগম জমি ফিরে পেতে ব্যাংক হতে ঝৃণ গ্রহন করলেও জমি ফিরত দিতে তাল বাহানা করতে থাকেন।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, চেয়ারম্যান হাজী মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্হানীয় সন্ত্রাসীদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে তাকে এলাকা ছাড়া করার ঘোষণা দেন।সর্বশেষ নাশকতা মামলায় উক্ত চেয়ারম্যান পলাতক থাকলেও স্হানীয় অনান্য দের মাধ্যমে বড় ধরনের ক্ষতি করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
এ ব্যপারে হাজেরা বেগম বলেন,আমাকে কিছু না জানিয়ে আমার সন্তান এবং ভাই হতে জমি নিয়ে নেয়,দখল নিতে আসলে আমি মামলা করে জমি ফিরত পাওয়ার কথা বলি এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমি ও আমার পরিবার কে পুড়িয়ে মরার জন্য রাতের আঁধারে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।আমার ছেলে হতে জমি নিল অথচ আমরা কিছু জানলাম না।জমি ফিরে পেতে ইতোমধ্যে আদালতে মামলা ফাইল করেছেন আমার আইনজীবী।তারা যে অত্যাচার আমার পরিবারের ওপর করেছে তার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করছি।
বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ফারুক হোসেন পলাতক এবং তার ছোট ভাই দিপু আহমেদ নাশকতা মামলায় কারাগারে থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপদেষ্টা ড. সরকার মো.আবুল কালাম আজাদ। সম্পাদক : সরকার মো. আব্দুল মা'বুদ জীবন। প্রকাশক : মোছা. বর্না খাতুন। নির্বাহী সম্পাদক : টুটুল হুমায়ুন। ঠিকানা : বাড়ী, নীল অপরাজিতা, ২১৯/৪- ক দক্ষিণ পীরেরবাগ, আগারগাঁও ঢাকা, যোগাযোগ : +৮৮০১৮১৪৯৯০৫৪৬, ইমেইল : smjiboneditor@gmail.com
© All rights reserved © NagorikKontho