বন্ধুকে হত্যার অভিযোগে মনোজিৎ গ্রেফতার


দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার রনটি গ্রামে টাকার লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে বন্ধু সাধন চন্দ্র রায় (২৫) কে হত্যা করেছে মনোজিৎ রায় (২৬) ওরফে মম নামের এক যুবক। হত্যার চার দিন পর শুক্রবার (২৭ জুন) মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে ঠাকুরগাঁও থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে মনোজিৎ জানায়, নিহত সাধনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও সে পুকুরে ফেলে রেখেছে। তার দেখানো মতে শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পুকুরপাড়েই আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন।
পুলিশ সুপার জানান, নিহত সাধন ও অভিযুক্ত মনোজিৎ ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। গত ৩ মে মনোজিৎ সাধনের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। চুক্তি ছিল ৩ জুনের মধ্যে তা পরিশোধ করবেন এবং অতিরিক্ত ১ হাজার টাকা সুদ দেবেন। তবে নির্ধারিত সময়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় বিষয়টি সাধনের পরিবারে জানাজানি হয়।
পরে সাধনের মা মনোজিতের মাকে বিষয়টি জানালে, তিনি ছেলেকে বকাঝকা করেন। এতে মনোজিৎ ক্ষিপ্ত হয়ে গত সোমবার (২৩ জুন) রাতে সাধনকে ডেকে নিয়ে যান ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বাড়ির পুকুরপাড়ে। সেখানে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাসের লাঠি দিয়ে আঘাত করে সাধনকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহ পুকুরে ফেলে দেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন মনোজিৎ।
ঘটনার দিনই বোচাগঞ্জ থানায় সাধনের পরিবার একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন বলেন, “অপরাধ করে কেউ দিনাজপুরে পার পাবে না। আমরা প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনছি।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সিফাত-ই-রাব্বানী, কাহারোল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান এবং বোচাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান জাহিদ সরকার প্রমুখ।