ফুলবাড়ীর সৌন্দর্য বর্ধনে পৌর প্রশাসকের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন


দিনাজপুরের ফুলবাড়ী শহরে শোভা বর্ধনের জন্য এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় রাস্তার পাশে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট ফুলবাড়ী খনি আন্দোলনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য চারপাশে ফুলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো.ইসাহাক আলী।
সোমবার (৬অক্টোবর) দুপুরে গাছ লাগানোর জন্য ফুলবাড়ী যমুনা ব্রিজের পাশে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন পৌরসভার প্রশাসক ও ইউএনও মো.ইসাহাক আলী। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সুশাসনের জন্য নাগরিক -সুজনের নির্বাহী সদস্য ও উপজেলা ক্যাবের সভাপতি মাসউদ রানা সহ ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব ও ফুলবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
পরিদর্শনে এসে তিনি বলেন, এক সময় হয়তো আমরা থাকবো না, তখনও এই গাছগুলো থেকে ফুল, ফল ও অক্সিজেন নিয়ে প্রাণিকুল উপকৃত হবে। গাছ পরিবেশকে সুস্থ রাখে,প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। বৃক্ষরাজি জীববৈচিত্রকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন -প্রাণ, প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় প্রত্যেকে গাছ লাগাই।
প্রসঙ্গত, প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ধন ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় রবিবার বিকেলে ফুলবাড়ী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের সামনে নিমগাছ, কৃষ্ণচূড়া ও জারুল ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. ইসাহাক আলী উপস্থিত থেকে গাছ লাগানোর উদ্বোধন করেন।এ সময় সহযোগিতা করেন সুজন’র নির্বাহী সদস্য ও ক্যাব’র উপজেলা সভাপতি মাসউদ রানা,বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মো. মোসলেম উদ্দিন ও স্কাউট দল। ইতোপূর্বেও ফুলবাড়ী হাসপাতালের সামনে রাস্তার পাশে গাছ লাগানো হয়। সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও পরিবেশ কর্মী মাসউদ রানা বলেন, শুধু দৈহিকভাবে সুস্থ হলেই হবে না মানসিকভাবেও সুস্থ হতে হবে। এজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতালের সামনেও ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। এটি একটি উত্তম ইবাদাত সাদাকায়ে জারিয়া যা প্রবাহমান থাকে।