ঢাকা ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
রাজধানীর মিরপুরে ভয়াবহ আগুন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে ইভটিজিং এর শিকার ছাত্রীর চাচা কে প্রাণ নাশের হুমকি পটুয়াখালী -৩ আলী আজগর ইসলাম বাবু কে এলডিপির প্রার্থী ঘোষণায় এলাকায় আনন্দের বন্যা কেশবপুর ১১ নং নম্বর হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ স্বপ্নে দেখা নবাব সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশ, ৯ বছরের সাধনায় তৈরি মুকুট ৫১ বছর ধরে ‘নবাব’ মোহাম্মদ আবুল কালাম জাতীয়তাবাদী অটোরিকশা দলের প্রতিষ্ঠাতা বাদশা ভাসানীর অভিযোগ: ‘দল বিক্রির বাণিজ্য চলছে’ ঢাকা-১৪ আসনে মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেলের নেতৃত্বে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত বুকে হাত দিয়ে বলো সূর্যের আলো রুখিতে পারে কি কেউ, অপপ্রচার করে, মিষ্টি খেয়ে, ঠেকানো যাবে না এই গণজোয়ারের ঢেউ (শ্রাবণ) রাজধানীতে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাঝে উন্নত জাতের সবজি বীজ বিতরণ করছেন বাংলাদেশ পেশাজীবী ফেডারেশন রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফার বিকল্প নেই – ব্যারিস্টার জামান

কেশবপুর ১১ নং নম্বর হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১১নং হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান কাকর-এর বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে একের পর এক অপকর্ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য মো. মঞ্জুর আলম পলাশ।

রোববার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুর আলম লিখিত বক্তব্যে জানান, কাকর নিজের অপকর্ম আড়াল করতে তার বৃদ্ধ মা ও ভাইবোনদের ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে ১০ অক্টোবর কাকর তার মা ও বোনদের ম্যানেজ করে বাগান থেকে ১৫টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যান, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

তিনি অভিযোগ করেন, কাকর দীর্ঘদিন ধরে দলীয় প্রত্যয়ন বাণিজ্য, ইউনিয়ন পরিষদের কার্ড বাণিজ্য এবং সলিশী বাণিজ্যসহ নানা অবৈধ অর্থ লেনদেনে জড়িত। দলীয় পদ ও প্রভাব ব্যবহার করে তিনি এলাকায় একধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছেন, যা সাধারণ মানুষ ও দলের কর্মীদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

মঞ্জুর আলম আরও বলেন, সম্প্রতি কাকর হাসানপুর বাজারের এক চায়ের দোকানদার গোলামকে মারপিট করেছেন, যা তার সহিংস প্রকৃতির প্রমাণ। তিনি স্পষ্ট করে জানালেন, “তার হাত থেকে আমি ও আমার পরিবার নিরাপদ নই।”

তিনি কাকরের বিরুদ্ধে তদন্ত ও দলীয় ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকদের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

স্থানীয়রা মনে করেন, কাকরের এই কর্মকাণ্ড দল ও সমাজের জন্য হুমকি। তার এমন অব্যবস্থাপনা ও অপকর্মের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও সাংগঠনিক শাস্তির মাধ্যমে তাকে প্রতিহত করা না হলে দলীয় শৃঙ্খলা ও স্থানীয় শান্তি বিপন্ন হতে পারে।

এই পরিস্থিতি বিএনপির স্থানীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় নেতাদের এই ধরনের অব্যবস্থাপনা দলের সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৫:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
৪ বার পড়া হয়েছে

কেশবপুর ১১ নং নম্বর হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৫:৩৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১১নং হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান কাকর-এর বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে একের পর এক অপকর্ম ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য মো. মঞ্জুর আলম পলাশ।

রোববার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মঞ্জুর আলম লিখিত বক্তব্যে জানান, কাকর নিজের অপকর্ম আড়াল করতে তার বৃদ্ধ মা ও ভাইবোনদের ব্যবহার করছেন। বিশেষ করে ১০ অক্টোবর কাকর তার মা ও বোনদের ম্যানেজ করে বাগান থেকে ১৫টি মেহগনি গাছ কেটে নিয়ে যান, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।

তিনি অভিযোগ করেন, কাকর দীর্ঘদিন ধরে দলীয় প্রত্যয়ন বাণিজ্য, ইউনিয়ন পরিষদের কার্ড বাণিজ্য এবং সলিশী বাণিজ্যসহ নানা অবৈধ অর্থ লেনদেনে জড়িত। দলীয় পদ ও প্রভাব ব্যবহার করে তিনি এলাকায় একধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছেন, যা সাধারণ মানুষ ও দলের কর্মীদের জন্য হুমকি স্বরূপ।

মঞ্জুর আলম আরও বলেন, সম্প্রতি কাকর হাসানপুর বাজারের এক চায়ের দোকানদার গোলামকে মারপিট করেছেন, যা তার সহিংস প্রকৃতির প্রমাণ। তিনি স্পষ্ট করে জানালেন, “তার হাত থেকে আমি ও আমার পরিবার নিরাপদ নই।”

তিনি কাকরের বিরুদ্ধে তদন্ত ও দলীয় ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকদের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

স্থানীয়রা মনে করেন, কাকরের এই কর্মকাণ্ড দল ও সমাজের জন্য হুমকি। তার এমন অব্যবস্থাপনা ও অপকর্মের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত তদন্ত ও সাংগঠনিক শাস্তির মাধ্যমে তাকে প্রতিহত করা না হলে দলীয় শৃঙ্খলা ও স্থানীয় শান্তি বিপন্ন হতে পারে।

এই পরিস্থিতি বিএনপির স্থানীয় কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ও অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় নেতাদের এই ধরনের অব্যবস্থাপনা দলের সুনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং নির্বাচনী প্রস্তুতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।