মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা রবিন খান: ত্যাগ, সাহস ও আদর্শের অগ্নিশপথে এক জীবন্ত ইতিহাস
 
								                                        
মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা রবিন খান: ত্যাগ, সাহস ও আদর্শের অগ্নিশপথে এক জীবন্ত ইতিহাস
দীর্ঘ ১৭ বছরের রাজনৈতিক যাত্রা—একটি প্রজন্মের সময়কালের সমান। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ দেখেছে ভয়, অন্যায় ও দমনপীড়নের অন্ধকার অধ্যায়; কিন্তু সেই অন্ধকারের ভেতর থেকেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আর সেই সংগ্রামের এক অগ্রসেনানী, ত্যাগ ও সাহসের প্রতীক মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা জানাবো রবিন খান, সভাপতি, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল।
🔹 আদর্শের রাজনীতি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অগ্নিশপথ
যখন রাজনীতি মানে ছিল সুবিধা আর প্রাপ্তি, তখন রবিন খান বেছে নিয়েছিলেন আদর্শের রাজনীতি—শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নীতি ও আদর্শের পথে।
নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তিনি দাঁড়িয়েছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে, নির্যাতনের মুখেও হার মানেননি।
রবিন খান বলেন—
“যখন অন্যরা চুপ থেকেছে, তখন আমরা বুক পেতে দিয়েছি অন্যায়ের বিরুদ্ধে। আমি নিজে বহুবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। পরিবার, সহযোদ্ধা, বন্ধুরা ভেবেছিল আমি আর ফিরব না—কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে আমি বেঁচে ফিরেছি দেশের জন্য, মানুষের জন্য।”
🔹 ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে
তার নেতৃত্বে ছাত্রদলের তরুণরা বারবার রাজপথে থেকেছে ন্যায়ের লড়াইয়ে।
তিনি বলেন—
“আমাদের স্বপ্ন ছিল এই দেশ একদিন ফ্যাসিস্টমুক্ত হবে। সেই স্বপ্ন আমরা রাজপথেই বাস্তবায়ন করেছি। ছাত্রদল আমাদের কাছে কেবল একটি সংগঠন নয়, এটি এক বিশ্বাস, এক প্রতিজ্ঞা।”
এই বিশ্বাসের শক্তিতেই ছাত্রদল গড়ে তুলেছে ত্যাগ, সাহস আর মানবতার রাজনীতি—যেখানে তরুণ প্রজন্মের প্রতিটি শপথ অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাগ্রত অগ্নিশপথে রূপ নিয়েছে।
🔹 জেল-জুলুমে না ভেঙে ইতিহাস রচনা
রবিন খান গর্বভরে বলেন—
“আমরা জেল-জুলুমে ভাঙিনি, নিপীড়নে হার মানিনি! আমরা ছাত্রদল বিশ্বাস করি সত্যের জয় হবেই। নতুন প্রভাত আসবেই, যেখানে রাজনীতি মানে হবে আদর্শ, জ্ঞান ও মানবসেবা।”
তার মতে, ছাত্রদল কেবল প্রতিবাদের নাম নয় এটি ইতিহাস সৃষ্টির ধারক।
তিনি মনে করেন, ১৭ বছরের সংগ্রাম কেবল রাজনীতির ইতিহাস নয়, এটি বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষার ইতিহাস।
🔹 ২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান: ত্যাগের পরিণতি
রবিন খানের নেতৃত্বে ছাত্রদল অংশ নেয় ঐতিহাসিক ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে, যেখানে ফ্যাসিবাদী শক্তি বিতাড়িত হয়।
তিনি বলেন,
“১৭ বছরে আমরা শুধু লড়িনি, আমরা ইতিহাস লিখেছি! এই ইতিহাস ত্যাগের, এই ইতিহাস সাহসের, এই ইতিহাস বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষার ইতিহাস।”
🔹 ভবিষ্যতের লক্ষ্য: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন
মৃত্যুঞ্জয়ী এই ছাত্রনেতার মতে,
“বাংলাদেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সর্বোচ্চ মেধা ও শ্রম দিয়ে ভূমিকা রাখবে, ইনশাআল্লাহ।”
রবিন খানের জীবনের গল্প কেবল একজন নেতার নয়—এটি এক তরুণ প্রজন্মের চেতনা, সাহস ও বিশ্বাসের প্রতীক।
তার নেতৃত্বে ছাত্রদল শুধু সংগ্রাম করেনি, বরং ইতিহাসের পৃষ্ঠায় লিখেছে ত্যাগ ও স্বাধীনতার এক অমর অধ্যায়।
 
																			


















