ঢাকা ১২:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
 নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপারের আব্দুল্লাহ- আল মামুন শিকদার- দায়িত্ব গ্রহণ ডিআরইউ নির্বাচন আজ: সাংবাদিকদের মিলনমেলায় ভোটগ্রহণ চলছে লোহাগড়া উপজেলায় গৃহবধূ গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ যারা ঠিকমতো খেতে পারে না, ডিপ্রেশনে থাকে, তারাই অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করে: মারিয়া মিম নড়াইলের নতুন পুলিশ সুপার আল মামুন  ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প, আতঙ্কিত নগরবাসী নড়াইলে বিএনপির অফিস উদ্বোধন দালাল রোমানের দখলে কোনাবাড়ী ভূমি অফিস-সেবা পেতে সাধারণ মানুষ জিম্মি” রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১৬টি ইউনিটের চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন পদোন্নতি পেলেন লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ১৫ শিক্ষক

ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড মোটরযান পরিদর্শক মোঃ হাসান

বিশেষ প্রতিবেদক

দেশে এমন কোনো বিআরটিএ অফিস নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না। ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসেও চলছে ব্যাপক অনিয়ম। সেখানে দুর্নীতির অন্যতম কারিগর মোটরযান পরিদর্শক মোঃ হাসান । এই চতুর কর্মকর্তা মাত্র কয়েক বছরের চাকুরীতে গড়েছেন বিপুল টাকার সম্পদ। আছে ফ্ল্যাট, নিজস্ব গাড়ি।

লাইসেন্স কারীদের সহযোগিতার নামে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সহ বিভিন্ন কাজ করে তিনি হয়েছেন ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের সম্রাট। তার এ কর্মকাণ্ডের অর্থ কালেকশনের জন্য আছে নিজস্ব ক্যাশিয়ার। মোঃ হাসান বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে টাকা বিআরটিএ কর্মচারীর দ্বারা গ্রহণ করে থাকেন।

অভিযোগ আছে, ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে বেশিরভাগ মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ হাসান কাজ করেছেন নৈশ প্রহরী শামীমের মাধ্যমে যদিও তিনি আর এখানে নেই তাকে বদলি করা হয়েছে অন্য অফিসে।

সূত্র জানায়, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য চালকদের ডোপ টেস্ট করাতে হয়। ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসলে, অর্থাৎ মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি লাইসেন্স পাবেন না। নৈশ প্রহরী শামিম সেই নিয়মকে পুঁজি করে ভয়াবহ বাণিজ্যে মেতেছিলেন। তিনি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়া ডোপ টেস্ট রিপোর্ট তৈরি করে মাদকসেবীদের লাইসেন্স করিয়ে দেয়। এ সবই করে মোঃ হাসানের ইশারায়।

এছাড়া, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা পরিবর্তনে নানা রকম ভুল-ত্রুটি বের করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মোঃ হাসান। মালিকানা পরিবর্তনে ট্রাক/বাসে ৫ হাজার টাকা, সিএনজি ২ হাজার টাকা এবং মাইক্রো/প্রাইভেট কার থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা ঘুষ নেন মোঃ হাসান । আর গাড়ির নাম্বার প্লেটের জন্য ৩/৪ হাজার টাকা, ড্রাইভিংয়ের লার্নার কার্ডের জন্য ১৫০০ থেকে ২ হাজার নিয়ে থাকেন মোঃ হাসান।

সূত্র মতে, মোঃ হাসান দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত একই অফিসে কর্মরত থাকায় পুরো দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট তার নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহে ২ দিন ড্রাইভিং লাইসেন্সের হয়। অভিযোগ আছে,মোটরযান পরিদর্শক মোঃ হাসান সেই পরীক্ষার কাজে অংশ নিয়ে দুর্নীতি করে থাকে। তবে, অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিষয়টি অবহিত হয়েও তাকে কিছুই বলে না। কারণ দুর্নীতির টাকা থেকে সকলেই ভাগ পায়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোঃ হাসান বলেন, এগুলো সব মিথ্যা কথা। স্থানীয় কিছু দালাল এখানে সুবিধা করতে না পেরে বদনাম ছড়াচ্ছে।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৭:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫
৭৭ বার পড়া হয়েছে

ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড মোটরযান পরিদর্শক মোঃ হাসান

আপডেট সময় ০৭:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৫

দেশে এমন কোনো বিআরটিএ অফিস নেই যেখানে দুর্নীতি হয় না। ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসেও চলছে ব্যাপক অনিয়ম। সেখানে দুর্নীতির অন্যতম কারিগর মোটরযান পরিদর্শক মোঃ হাসান । এই চতুর কর্মকর্তা মাত্র কয়েক বছরের চাকুরীতে গড়েছেন বিপুল টাকার সম্পদ। আছে ফ্ল্যাট, নিজস্ব গাড়ি।

লাইসেন্স কারীদের সহযোগিতার নামে সেবা প্রত্যাশীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। ড্রাইভিং লাইসেন্স গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সহ বিভিন্ন কাজ করে তিনি হয়েছেন ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসের সম্রাট। তার এ কর্মকাণ্ডের অর্থ কালেকশনের জন্য আছে নিজস্ব ক্যাশিয়ার। মোঃ হাসান বিভিন্ন দালালদের মাধ্যমে টাকা বিআরটিএ কর্মচারীর দ্বারা গ্রহণ করে থাকেন।

অভিযোগ আছে, ইকুরিয়া বিআরটিএ অফিসে বেশিরভাগ মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ হাসান কাজ করেছেন নৈশ প্রহরী শামীমের মাধ্যমে যদিও তিনি আর এখানে নেই তাকে বদলি করা হয়েছে অন্য অফিসে।

সূত্র জানায়, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য চালকদের ডোপ টেস্ট করাতে হয়। ডোপ টেস্টে পজিটিভ আসলে, অর্থাৎ মাদক সেবনের প্রমাণ পাওয়া গেলে তিনি লাইসেন্স পাবেন না। নৈশ প্রহরী শামিম সেই নিয়মকে পুঁজি করে ভয়াবহ বাণিজ্যে মেতেছিলেন। তিনি ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বিনিময়ে ভুয়া ডোপ টেস্ট রিপোর্ট তৈরি করে মাদকসেবীদের লাইসেন্স করিয়ে দেয়। এ সবই করে মোঃ হাসানের ইশারায়।

এছাড়া, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, মালিকানা পরিবর্তনে নানা রকম ভুল-ত্রুটি বের করে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মোঃ হাসান। মালিকানা পরিবর্তনে ট্রাক/বাসে ৫ হাজার টাকা, সিএনজি ২ হাজার টাকা এবং মাইক্রো/প্রাইভেট কার থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা ঘুষ নেন মোঃ হাসান । আর গাড়ির নাম্বার প্লেটের জন্য ৩/৪ হাজার টাকা, ড্রাইভিংয়ের লার্নার কার্ডের জন্য ১৫০০ থেকে ২ হাজার নিয়ে থাকেন মোঃ হাসান।

সূত্র মতে, মোঃ হাসান দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত একই অফিসে কর্মরত থাকায় পুরো দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেট তার নিয়ন্ত্রণে সপ্তাহে ২ দিন ড্রাইভিং লাইসেন্সের হয়। অভিযোগ আছে,মোটরযান পরিদর্শক মোঃ হাসান সেই পরীক্ষার কাজে অংশ নিয়ে দুর্নীতি করে থাকে। তবে, অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বিষয়টি অবহিত হয়েও তাকে কিছুই বলে না। কারণ দুর্নীতির টাকা থেকে সকলেই ভাগ পায়।

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মোঃ হাসান বলেন, এগুলো সব মিথ্যা কথা। স্থানীয় কিছু দালাল এখানে সুবিধা করতে না পেরে বদনাম ছড়াচ্ছে।