শ্যামলীতে লিফট ঘটনার জেরে হাসপাতালের ভেতরে উত্তেজনা,বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অরাজকতার অভিযোগ


রাজধানীর শ্যামলীতে অবস্থিত ডক্টরস কেয়ার হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে লিফট সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনা থেকে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, মোহাম্মদপুর থানাধীন ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ইমন মুন্সী দলবল নিয়ে হাসপাতালে প্রবেশ করে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন এবং পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলেন।
গত ২৩ জুলাইয়ের প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ইমন একটি দলবলসহ হাসপাতালে এসে উচ্চস্বরে কথা বলেন ও উত্তেজনা ছড়ান। এক পর্যায়ে তাকে কোমরের পেছনে কিছু একটা রাখতেও দেখা যায়, যা উপস্থিত লোকদের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, এক নারী লিফটে উঠার সময় ইমনের স্ত্রীর সাথে অনিচ্ছাকৃতভাবে স্পর্শ হয় অতঃপর তিনি দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমাও চান। কিন্তু ইমন তাতে শান্ত না হয়ে আরও উত্তপ্ত হন এবং ঐ মহিলাকে হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ উঠে। বর্তমানে ঐ নারী চরম আতঙ্কে রয়েছেন।
এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, উত্তেজনার সময় ইমনের সঙ্গে আসা লোকজন হাসপাতালের এক কর্মীর ওপর শারীরিকভাবে আক্রমণ করে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলটিকে সুসংগঠিত ও শৃঙ্খলিতভাবে পরিচালনা করছেন, কিন্তু দলের নাম ব্যবহার করে ইমনের মতো ব্যক্তি দল ও নেতৃত্বর সুনাম ক্ষুণ্ন করছে।”
এই বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ইমন মুন্সী বলেন, “ঘটনার সময় আমার একজন লোক অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে আমি তাকেই শাসন করেছি। কিন্তু একটি মহল রাজনৈতিকভাবে আমাকে ছোট করতে চায়, তাই এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে।” এছাড়া তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আমি মানহানির মামলা করবো।”
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের কাছে ইমন মুন্সীর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।