রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাঈদ মামুন

রাজধানীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাঈদ মামুন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডের আশঙ্কা
রাজধানীতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাঈদ মামুনকে পেশাদার শুটারদের হাতে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।
তদন্তকারীদের মতে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা গুলির খোসা ও নিহতের শরীর থেকে বের করা গুলি বিশ্লেষণ করে পেশাদার কিলারদের প্রোফাইলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, মোটরসাইকেলে করে আসা দুইজন অস্ত্রধারী কাছ থেকে গুলি চালায়। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও সন্দেহের আঙুল উঠেছে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল বাহিনীর দিকে।
ধানমন্ডি এলাকার সাবেক ছাত্রদল নেতা সাঈদ মামুন রাজধানীর পুলিশের তালিকাভুক্ত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর একজন ছিলেন। চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই তিনি ইমনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এরপর থেকেই মামুন পলাতক জীবনযাপন করছিলেন।
গত সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে একটি হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা শেষে বের হওয়ার সময় পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি এটি একটি পরিকল্পিত টার্গেট কিলিং।”
মঙ্গলবার সকালে জানাজা শেষে মামুনের মরদেহ নিজ জেলা লক্ষ্মীপুরে দাফন করা হয়। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সূত্রাপুর থানার পুলিশ ও ডিবির একটি বিশেষ দল কাজ করছে।
তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, হত্যাটি পেশাদার কিলারদের দ্বারাই সংঘটিত হয়েছে বিষয়টি এখন প্রায় নিশ্চিত।


















