মিরপুর পল্লবী এলাকায় চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে আদালত


গত ২৫ জুলাই দেশ টিভি-তে “বিএনপি নেতা বনে গিয়ে পল্লবীতে চাঁদাবাজি শুরু করেছে যুবলীগ নেতা জাকির” শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সম্প্রচারিত হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, অভিযুক্ত জাকির নিজেকে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে দলবলসহ পল্লবী থানাধীন টেকেরবাড়ি ও সাগুফতা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের কাজে লিপ্ত।
প্রতিবেদনে তাসকিন নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, চাঁদা না দেয়ায় তার ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে পা কাটার চেষ্টা করা হয়। তাকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় আহত পা-তে ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় টিভি স্ক্রিনে দেখা যায়। তিনি জানান, “চাঁদা দিলেই হয়তো কিছুটা সমঝোতা হতে পারে, না দিলে হামলা হচ্ছে।”
আদালতের পর্যবেক্ষণ ও আদেশ:
প্রচারের পর আদালত বিষয়টি আমলে নেন এবং বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭ ধারা অনুযায়ী গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করার মত তথ্য পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
আদালতের আদেশে বলা হয়, পল্লবীর সাধারণ ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির কারণে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন এবং অনেকেই ভয়ের কারণে থানায় অভিযোগ করতেও সাহস পাচ্ছেন না, যা আইনি সুরক্ষা পাওয়ার নাগরিক অধিকারকে ব্যাহত করছে।
তদন্তে যা যা চাওয়া হয়েছে:
আদালত পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন পল্লবী এলাকার চাঁদাবাজদের নাম, ঠিকানা ও সম্পৃক্ততার বিস্তারিত বিবরণ,টিভি প্রতিবেদনে প্রদত্ত ভিকটিমদের ১৬১ ধারায় লিখিত বিবৃতি এবং৭ কার্যদিবসের মধ্যে একটি বিশদ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে।
এই ঘটনাটি পল্লবী এলাকায় দীর্ঘদিনের একটি অদৃশ্য ভয় ও চাঁদাবাজির সংস্কৃতিকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে বলে অনেকেই মনে করছেন।