ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান কেশবপুরে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে জামায়াত নেতা সাময়িক বহিষ্কার নারী পুরুষের যেসব কারনে ডায়েবেটিস হওয়ার লক্ষন বুঝতে পারবেন দেখা যায় একজন আদর্শ শিক্ষাগুরুকে হারিয়ে ফুলবাড়ীবাসী শোকে মুহ্যমান উল্লাপাড়ায় এম. আকবর আলীর নেতৃত্বে জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তিতে আনন্দ মিছিল রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে “৩৬” জুলাই উদযাপন অনুষ্ঠানে হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে জুলাই গনঅভ্যুত্থানের মূল উদ্দেশ্য বৈষম্যহীন রাষ্ট্রব্যবস্থা মিরপুর বিআরটিএ ট্রাফিক পুলিশের  অভিযান আটক ২  মিরপুর কাঁচাবাজার অস্থায়ী আরৎদারদের মাটি ভাড়ার আদেশ বাতিল করে জেলা প্রসাশনের চিঠি দেশের জনগনের জীবনমান উন্নয়নের রাজনীতি করতে চায় বিএনপি

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র এ জুলাই শহিদদের পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়৷ আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলার ৮২ শহীদ পরিবার ও এক হাজার ৪৮৩ জন জুলাইযোদ্ধাকে প্রথম বর্ষ পুর্তিতে সংবর্ধনা দিয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার। বিগত ১৬ বছরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট শুধু একটা বিশেষ দিবস নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞা, গণজাগরণের উপাখ্যান এবং ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন। আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা পেয়েছি স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ।এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পরে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা স্মৃতিচারণ করেন। পরে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও গিফট বক্স প্রদান করেন।
শহীদ শুভ’র মা রেনু বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে আমার ছেলের গুলি লাগে। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নিলেও কোনো চিকিৎসা হয়নি।

পরদিন ভোরে আমার ছেলে মারা যান। আমার ছেলেকে গোসল করাতে বাধা দেওয়া হয়। আমার ছেলে হত্যার বিচারের কিছুই পায়নি। ছাত্রদের ডাকে সাড়া দেওয়া কি আমার ছেলের অপরাধ ছিল? সন্তান হারানোর ব্যথা একজন মা ছাড়া কেউ বোঝে না।

শহীদ আকরাম খান রাব্বির মা বলেন, আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত মৃত।শুধু নিশ্বাসটা আছে। সন্তান হারা মা কিভাবে দুনিয়াতে বেঁচে থাকে আল্লাহ জানে। এখানে আনন্দ, উল্লাস করতে আসেনি। আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার চাই। তাকে ধরে এনে এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে পুরা পৃথিবী কেঁপে উঠে।

ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা সহযোগী ছিল তারা পালিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দিয়েছিল। এটা মোকাবিলা করে নাগরিক সেবা গতিশীল করতে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। তা আমরা কাটিয়ে উঠেছি।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৪:৫৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫
১ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৮২ শহিদ পরিবার এবং ১৪৮৩ জন জুলাই যোদ্ধাকে সংবর্ধনা প্রদান

আপডেট সময় ০৪:৫৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র এ জুলাই শহিদদের পরিবার ও জুলাইযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়৷ আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলার ৮২ শহীদ পরিবার ও এক হাজার ৪৮৩ জন জুলাইযোদ্ধাকে প্রথম বর্ষ পুর্তিতে সংবর্ধনা দিয়া হয়।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, দেশের মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল ফ্যাসিবাদী সরকার। বিগত ১৬ বছরে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করা হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, ৫ আগস্ট শুধু একটা বিশেষ দিবস নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞা, গণজাগরণের উপাখ্যান এবং ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন। আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। যাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা পেয়েছি স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ।এর আগে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

পরে শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধারা স্মৃতিচারণ করেন। পরে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট ও গিফট বক্স প্রদান করেন।
শহীদ শুভ’র মা রেনু বলেন, গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে আমার ছেলের গুলি লাগে। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নিলেও কোনো চিকিৎসা হয়নি।

পরদিন ভোরে আমার ছেলে মারা যান। আমার ছেলেকে গোসল করাতে বাধা দেওয়া হয়। আমার ছেলে হত্যার বিচারের কিছুই পায়নি। ছাত্রদের ডাকে সাড়া দেওয়া কি আমার ছেলের অপরাধ ছিল? সন্তান হারানোর ব্যথা একজন মা ছাড়া কেউ বোঝে না।

শহীদ আকরাম খান রাব্বির মা বলেন, আমাদের প্রতিটা মুহূর্ত মৃত।শুধু নিশ্বাসটা আছে। সন্তান হারা মা কিভাবে দুনিয়াতে বেঁচে থাকে আল্লাহ জানে। এখানে আনন্দ, উল্লাস করতে আসেনি। আমাদের সন্তান হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিচার চাই। তাকে ধরে এনে এমন শাস্তি দিতে হবে, যাতে পুরা পৃথিবী কেঁপে উঠে।

ঢাকা জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা সহযোগী ছিল তারা পালিয়ে যাওয়ায় প্রশাসনিক শূন্যতা দেখা দিয়েছিল। এটা মোকাবিলা করে নাগরিক সেবা গতিশীল করতে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল। তা আমরা কাটিয়ে উঠেছি।