ঢাকা ০৮:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
 নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপারের আব্দুল্লাহ- আল মামুন শিকদার- দায়িত্ব গ্রহণ ডিআরইউ নির্বাচন আজ: সাংবাদিকদের মিলনমেলায় ভোটগ্রহণ চলছে লোহাগড়া উপজেলায় গৃহবধূ গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করার অভিযোগ যারা ঠিকমতো খেতে পারে না, ডিপ্রেশনে থাকে, তারাই অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করে: মারিয়া মিম নড়াইলের নতুন পুলিশ সুপার আল মামুন  ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ফের ভূমিকম্প, আতঙ্কিত নগরবাসী নড়াইলে বিএনপির অফিস উদ্বোধন দালাল রোমানের দখলে কোনাবাড়ী ভূমি অফিস-সেবা পেতে সাধারণ মানুষ জিম্মি” রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: ১৬টি ইউনিটের চেষ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন পদোন্নতি পেলেন লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের ১৫ শিক্ষক

মিরপুর বিআরটিএ ট্রাফিক পুলিশের  অভিযান আটক ২ 

আবুল কাশেম

গত সোমবার (০৪ আগস্ট ২৫) বিকালে  মিরপুর-১৩ বিআরটি এর সামনে হুমায়ুন রশীদ ও নুরুল ইসলাম সৈকত এর দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রাজধানীর মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও স্বাক্ষর সহ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের চৌকস টিম।আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার নিজচাওড়া উত্তর গ্রামের মো: আলাউদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন রশীদ ও চট্টগ্রাম জেলার কাউখালি থানার চৌধুরীপাড়া গ্রামের মো: করিমের ছেলে নুরুল ইসলাম সৈকত৷
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকায় মো: সেলিম ও মো: আসাদ নামে দুজন ব্যক্তি মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ এর প্রসিকিউশান শাখায় ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে আসলে দেখা যায় তাদের জিডি কপিতে আগে থেকে ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও সাইন ব্যবহার করা আছে ৷
মিরপুর ১৩ বিআরটি এর পাশে একটি দোকানে এমন জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কাজ প্রতিনিয়ত করা হয় মর্মে জানা যায়৷ ডিসি ট্রাফিক মিরপুর গৌতম কুমার বিশ্বাস’কে বিষয়টি অবগত করা হলে প্রাথমিক অনুসন্ধান করেন এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য ডিসি ট্রাফিক মিরপুর তাৎক্ষণিক একটি টিম গঠন করে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও নির্দেশনা প্রদান করে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ এর সদস্যগণ হলেন, পুলিশ সার্জেন্ট মো: নাজমুল হোসেন, শিহাব, জাকারিয়া, পূজা ও সার্জেন্ট পান্না। উক্ত সদস্য গন ঘটানাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে প্রমাণসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন এবং চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন করেন ৷
প্রতারক চক্র গ্রেফতারের সময় টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের সাথে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাইদ এর একটা টিম আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা করেন ৷
বিআরটি’র আদালত-০৯ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া জায়গীরদার প্রতারক চক্রের স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য প্রমাণাদি যাচাই পূর্বক উক্ত প্রতারক চক্রের দুজনকে ৬ মাস এর কারাদণ্ড প্রদান করেন৷ আদেশ অনুযায়ী আসামীদেরকে কাফরুল থানার এ এস আই মেহেদী হাসান কারাগারে পেরন করেন।
সার্জেন্ট নাজমুল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে থেকে এই প্রতারক চক্রের জালিয়াতির বিষয় আমাদের কাছে তথ্য  প্রমাণ ছিলো।ডিসি ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ গৌতম কুমার বিশ্বাস দিকনির্দেশনায় আমরা উক্ত আসামীদের আটক করতে সক্ষম হই।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৬:৩৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫
৬৩ বার পড়া হয়েছে

মিরপুর বিআরটিএ ট্রাফিক পুলিশের  অভিযান আটক ২ 

আপডেট সময় ০৬:৩৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অগাস্ট ২০২৫

গত সোমবার (০৪ আগস্ট ২৫) বিকালে  মিরপুর-১৩ বিআরটি এর সামনে হুমায়ুন রশীদ ও নুরুল ইসলাম সৈকত এর দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

রাজধানীর মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও স্বাক্ষর সহ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের চৌকস টিম।আসামীরা হলেন, সিলেট জেলার কানাইঘাট থানার নিজচাওড়া উত্তর গ্রামের মো: আলাউদ্দিনের ছেলে হুমায়ুন রশীদ ও চট্টগ্রাম জেলার কাউখালি থানার চৌধুরীপাড়া গ্রামের মো: করিমের ছেলে নুরুল ইসলাম সৈকত৷
মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের অফিস সূত্রে জানা যায়, আনুমানিক দুপুর ২ ঘটিকায় মো: সেলিম ও মো: আসাদ নামে দুজন ব্যক্তি মিরপুর ট্রাফিক বিভাগ এর প্রসিকিউশান শাখায় ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স নিতে আসলে দেখা যায় তাদের জিডি কপিতে আগে থেকে ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের প্রসিকিউশান শাখার ভুয়া সিল ও সাইন ব্যবহার করা আছে ৷
মিরপুর ১৩ বিআরটি এর পাশে একটি দোকানে এমন জালিয়াতি ও প্রতারণামূলক কাজ প্রতিনিয়ত করা হয় মর্মে জানা যায়৷ ডিসি ট্রাফিক মিরপুর গৌতম কুমার বিশ্বাস’কে বিষয়টি অবগত করা হলে প্রাথমিক অনুসন্ধান করেন এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় মূল রহস্য উদঘাটন করার জন্য ডিসি ট্রাফিক মিরপুর তাৎক্ষণিক একটি টিম গঠন করে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও নির্দেশনা প্রদান করে ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন। টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ এর সদস্যগণ হলেন, পুলিশ সার্জেন্ট মো: নাজমুল হোসেন, শিহাব, জাকারিয়া, পূজা ও সার্জেন্ট পান্না। উক্ত সদস্য গন ঘটানাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে প্রমাণসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন এবং চাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন করেন ৷
প্রতারক চক্র গ্রেফতারের সময় টিম ট্রাফিক মিরপুর বিভাগের সাথে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাইদ এর একটা টিম আনুষাঙ্গিক সহযোগিতা করেন ৷
বিআরটি’র আদালত-০৯ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তাসমিয়া জায়গীরদার প্রতারক চক্রের স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য প্রমাণাদি যাচাই পূর্বক উক্ত প্রতারক চক্রের দুজনকে ৬ মাস এর কারাদণ্ড প্রদান করেন৷ আদেশ অনুযায়ী আসামীদেরকে কাফরুল থানার এ এস আই মেহেদী হাসান কারাগারে পেরন করেন।
সার্জেন্ট নাজমুল হোসেন জানান, কিছুদিন আগে থেকে এই প্রতারক চক্রের জালিয়াতির বিষয় আমাদের কাছে তথ্য  প্রমাণ ছিলো।ডিসি ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ গৌতম কুমার বিশ্বাস দিকনির্দেশনায় আমরা উক্ত আসামীদের আটক করতে সক্ষম হই।