কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে কমিটির সভাপতি, উচ্চতর গ্রেড নিয়ে লক্ষাধিক টাকা লুফে নেওয়ার অভিযোগ


আল-নাহিয়ান ট্রাস্টের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হাকিম ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ভূঁইয়া কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিজেই কমিটির সভাপতি হয়ে উচ্চতর গ্রেড নিয়ে প্রতি মাসে এতিম নিবাসীদের ভান্ডার হতে এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা লুফে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নবম গ্রেড হতে একলাখে পঞ্চম গ্রেড নিয়ে ৫টি দোকান ও ছয়তলা বাড়ির মালিক হয়ে যান রাতারাতি। স্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসা করান,এখন পর্যন্ত ট্রাস্ট এর কোন অডিটও করা হয়নি এমন অভিযোগের পরেও বহাল তবিয়তে আছেন অভিযুক্ত বর্তমান লালমনিরহাট শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায় আব্দুল হাকিম ও তার সহযোগী হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ভূঁইয়া। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠানে (নাহিয়ান ট্রাস্ট) একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে খাদ্য ঠিকাদারের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও বনানী মার্কেটের দোকান মালিকদের সাথে ভাড়া না বাড়িয়ে মোটা অংকের উৎকর্ষ গ্রহণের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি ড্রাইভার থেকে পিওন সকলে এক সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত এদের কারণে কোন ভালো নির্বাহী পরিচালক বেশিদিন থাকতে পারে না তাদেরকে দুর্বিষহ করে কৌশলে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অনুসন্ধানে জানা যায়। লালমনিরহাটের শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হাকিম ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের একনিষ্ঠ কর্মী যার দুর্নীতি পাহাড় সমান, নারী কেলেঙ্কারি থেকে টাকা আত্মসাৎ সবই পারেন আব্দুল হাকিম। আর তার অন্যতম সহযোগী পিয়ন মুসলিম উদ্দিন আহমেদ,যার কোটি টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে।নিম্নমান সহকারি অমল কৃষ্ণপালের অনৈতিক ভাবে প্রতিমাসে পানি,বিদ্যুৎ,বিল তুলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্ট বাংলাদেশ তথা আল-নাহিয়ান ট্রাষ্টের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হাকিম ও একাউন্টস অফিসার মজিবুর রহমান ভুইয়ার বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য,ছাএদের মারধর, অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে নির্বাহী পরিচালক উপ- সচিব বরাবর অভিযোগ দাখিলের পরও কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক ছাত্রবৃন্দ।
অভিযোগে আল-নাহিয়ান শিশুদের পরিবার মিরপুর,ঢাকার সাবেক অবৈধ ও বর্তমান লালমনিরহাট শিশু পরিবারের উপ-তত্তাবধায়ক আব্দুল হাকিমের অবৈধ কার্যকলাপ ও অনৈতিক কর্মকান্ড ও দূর্নীতির সুষ্ঠ তদন্ত করে কঠোর শাস্তির আবেদন করে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও তদন্ত হচ্ছেনা।অভিযোগে ৪৭ টি তথ্যের অভিযোগ দিয়ে আবেদন করার পরও বহাল তবিয়তে আছেন উপ-তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হাকিম ও হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা মজিবুর রহমান ভূইয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ছেলে পরিচয়ে প্রভাব খাঁটিয়ে নিয়োগ বানিজ্য ও দূর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকান্ড এবং অপকর্ম করত।তবে মন্ত্রীর বাসার কাজের বুয়া ছিল তার মা জোবেদা খাতুন।মিরপুর আল-নাহিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিচালকের অফিস রুমের এসি, ফ্রিজসহ অফিসে ব্যাবহারের আসবাবপত্র খুলে নিয়ে নিজ বাসায় ব্যাবহারের কথাও উল্লেখ করেন অভিযোগে।অভিযোগে বিতর্কিত কর্মচারীদের টাকার বিনিময়ে চাকুরী দেওয়া এবং ভালো কর্মচারীদের বিতর্কিত করে চাকুরীচূত করার অভিযোগও করেন। উল্লেখ করেন কম্পাউন্ডার ফিরোজ মোল্লার স্ত্রী মেহেরুন্নেছা পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে চাকুরী ফিরিয়ে দেন।
লালমনিরহাটে শিশু নিবাসে নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহে ঠিকাদারের কাছ থেকে মাসিক চুক্তিতে উৎকষ গ্রহণ করা,রত্না ও শিউলি নামে দুইজন এতিম নিবাসীর বিয়ের আয়োজন করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং বিয়ে অনুষ্ঠানের গিফট পরিবার দ্বয়কে না দিয়ে নিজে আত্মসাৎ করা সহ অসংখ্য অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ঈদুল আজহার কোরবানির মাংস সামান্য বন্টন করে সকল মাংস বিক্রির অভিযোগ আছে এমনকি শিশু পরিবারের অনেক দামী দামী গাছ বিক্রি করেছেন রাতের আঁধারে। এত অভিযোগের পরও ধরাকে সরা করায় ব্যস্ত উপ-তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল হাকিম। এসকল অপকর্মের সঙ্গে জড়িত হিসাব রক্ষণ অফিসার মুজিবুর রহমান ভূঁইয়া, ড্রাইভার হাবিব, পিয়ন মোসলেম উদ্দিন আহমেদ সহ নিম্নমান সহকারি অমল কৃষ্ণপালের সকল দুর্নীতির খবর থাকছে আগামী সংখ্যায়।