ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সবুজ-ফরজুল্লাহর নেতৃত্বে বাংলাকলেজস্হ ঝিনাইদহ জেলা ছাত্র কল্যাণ এলজিইডির কর্মচারী শাহনাজ পারভীন ব্লাকমেল করে অর্থাস্মাতের অভিযোগ ঢাকা মহানগর উত্তরের মিরপুর থানা যুবদলের ৭ নং ওয়ার্ডের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত রাজধানী মিরপুরে বিএনপির অসহায় দুস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ ঢাকায় বর্ণিল আয়োজনে ফুলবাড়ীবাসীর মিলন মেলা অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের মিরপুর থানা ১১ নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত ঢাকা মহানগর উত্তর মিরপুর থানা যুবদলের ১২ নং ওয়ার্ডের কর্মী সন্মেলন অনুষ্ঠিত দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গোপনে শীতের উপহার নিয়ে বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে এক মানবতার ফেরিওয়ালা অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান দূর্ণীতির বর পুত্র দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সাঁটলিপিকার -আব্দুস সামাদ ভূঁইয়া

কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত সাংবাদিকদের মৃত্যুেতে সাংবাদিক সমাজের প্রতিবাদ সভা

এস এম জীবন

সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনে রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সংহিতা’য় চার সাংবাদিক সহ শতাধিক ছাএ ও সাধারণ মানুষের প্রানহানির ঘটনায় গতকাল বেলা ১২ টায় সাধারণ সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছ। উক্ত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও সংগঠক সাইদুর রহমান রিমন এবং সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পএিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজতবা আলী ধ্রুব ও নির্বাহী সদস্য আল আমিন।

উল্লেখ গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার সময় পুলিশের গুলিতে হত্যার শিকার হন ঢাকা টাইমসের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মেহেদী। ১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনের ছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয়’র মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্তের সাংবাদিক এ টি এম তুরাব গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তুরাবের দেহে আটানব্বইটি গুলি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১৮ জুলাই দৈনিক ভোরের আওয়াজের গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ, হামলার শিকার ও সংঘাতের মাঝে পড়ে দুইশতাধিক সংবাদকর্মিরা আহত হয়েছেন। সাংবাদিকেরা আন্দোলন করতে যাননি, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। তাকে কেন গুলিবিদ্ধ হয়ে হত্যার শিকার হতে হবে? কেন বরণ করতে হবে পঙ্গুত্ব? প্রতিটি ঘটনার ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন বক্তারা।

তাদের জীবন যাপনের স্থায়ী ভিত্তি গড়ে দেওয়া খুবই জরুরি। ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদির দুটি অবুঝ সন্তান রয়েছে। নয়া দিগন্তের নিহত তুরাবের নববিবাহিত স্ত্রীর হাতের মেহেদি শুকায়নি। তাদের কাছে রাষ্ট্রের জবাব কী? শুধু কোটা-সংস্কার আন্দোলন নয়, কোনো আন্দোলনেই একজন সংবাদকর্মী কখনো কারো প্রতিপক্ষ থাকে না।একজন সাংবাদিক না আন্দোলনকারীদের, না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। চলমান ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ করতেই কেবল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন। অথচ কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীসহ সারাদেশে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। উক্ত প্রতিবাদ সভা সফল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন- সুরমা আলম, জিয়াউর রহমান,হাফিহুর রহমান শফিক.মনিরুজ্জামান মনি,আব্দুল মাবু’দ জীবন, মো: জাকির হোসেন মোল্লা, মারুফ হায়দার,মুস্তাকিম নিবিড়, মোঃ সেলিম, আকাশ মনি, সাইদুল ইসলাম, সৈয়দা রিমি, মাহাবুব আলম, মেহেদী হাসান, আব্দুল আজিজ, সুজন শেখ, জাকিয়া সুলতানা আজিজুল ইসলাম যুবরাজ প্রমূখ।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৭:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
৪২ বার পড়া হয়েছে

কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় নিহত সাংবাদিকদের মৃত্যুেতে সাংবাদিক সমাজের প্রতিবাদ সভা

আপডেট সময় ০৭:৩৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনে রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহরে সংহিতা’য় চার সাংবাদিক সহ শতাধিক ছাএ ও সাধারণ মানুষের প্রানহানির ঘটনায় গতকাল বেলা ১২ টায় সাধারণ সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছ। উক্ত প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও সংগঠক সাইদুর রহমান রিমন এবং সঞ্চালনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পএিকার সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ সংহতি প্রকাশ করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মুজতবা আলী ধ্রুব ও নির্বাহী সদস্য আল আমিন।

উল্লেখ গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সহিংসতার সময় পুলিশের গুলিতে হত্যার শিকার হন ঢাকা টাইমসের সিনিয়র রিপোর্টার হাসান মেহেদী। ১৯ জুলাই দুপুরে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আন্দোলনের ছবি তোলার সময় ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক তৌহিদ জামান প্রিয়’র মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। একই দিনে সিলেটে দায়িত্ব পালনের সময় নয়া দিগন্তের সাংবাদিক এ টি এম তুরাব গুলিবিদ্ধ হন। পরদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তুরাবের দেহে আটানব্বইটি গুলি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১৮ জুলাই দৈনিক ভোরের আওয়াজের গাজীপুরের গাছা থানা প্রতিনিধি মো. শাকিল হোসেন সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালনের সময় গুলিবিদ্ধ, হামলার শিকার ও সংঘাতের মাঝে পড়ে দুইশতাধিক সংবাদকর্মিরা আহত হয়েছেন। সাংবাদিকেরা আন্দোলন করতে যাননি, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন। তাকে কেন গুলিবিদ্ধ হয়ে হত্যার শিকার হতে হবে? কেন বরণ করতে হবে পঙ্গুত্ব? প্রতিটি ঘটনার ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন বক্তারা।

তাদের জীবন যাপনের স্থায়ী ভিত্তি গড়ে দেওয়া খুবই জরুরি। ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদির দুটি অবুঝ সন্তান রয়েছে। নয়া দিগন্তের নিহত তুরাবের নববিবাহিত স্ত্রীর হাতের মেহেদি শুকায়নি। তাদের কাছে রাষ্ট্রের জবাব কী? শুধু কোটা-সংস্কার আন্দোলন নয়, কোনো আন্দোলনেই একজন সংবাদকর্মী কখনো কারো প্রতিপক্ষ থাকে না।একজন সাংবাদিক না আন্দোলনকারীদের, না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। চলমান ঘটনার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ সংগ্রহ করতেই কেবল ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকেন। অথচ কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় রাজধানীসহ সারাদেশে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে চার সাংবাদিক প্রাণ হারিয়েছেন। উক্ত প্রতিবাদ সভা সফল করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন- সুরমা আলম, জিয়াউর রহমান,হাফিহুর রহমান শফিক.মনিরুজ্জামান মনি,আব্দুল মাবু’দ জীবন, মো: জাকির হোসেন মোল্লা, মারুফ হায়দার,মুস্তাকিম নিবিড়, মোঃ সেলিম, আকাশ মনি, সাইদুল ইসলাম, সৈয়দা রিমি, মাহাবুব আলম, মেহেদী হাসান, আব্দুল আজিজ, সুজন শেখ, জাকিয়া সুলতানা আজিজুল ইসলাম যুবরাজ প্রমূখ।