গাবতলীতে সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখল করে বানিজ্য, হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই দিপু ও কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ


রাজধানীর গাবতলীর বিজিবি মার্কেটের বিপরীতে অবস্থিত দীপনগরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন প্রভাবশালী দুই ব্যক্তি—দিপু ও কামাল। তারা দুজনই একটি আলোচিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিপু ও কামালের নির্দেশে সরকারি এই জমি ভরাট করে সেখানে ইট-বালুর গদি স্থাপন করে রমরমা বাণিজ্য চালানো হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিনের তদারকি ও আর্থিক লেনদেনেও তারা সরাসরি জড়িত।
অভিযোগ রয়েছে, জমিটির কিছু অংশ ভাড়া দিয়ে সেখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা একপ্রকার অবৈধ আর্থিক লেনদেন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের নগ্ন উদাহরণ।
জানা যায়, সিটি কর্পোরেশন পূর্বে একাধিকবার উচ্ছেদ অভিযান চালালেও, প্রতিবারই কিছুদিনের মধ্যে জমিটি পুনরায় দখল করে নেওয়া হয়। সিটি কর্পোরেশনের পরিকল্পনায় একটি আধুনিক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ থাকলেও, অবৈধ দখলের কারণে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দিপু, কামাল ও তাদের সহযোগীরা জায়গাটিতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনছেন যে কারনে, রাস্তার পাশ দিয়ে বয়ে চলা খাল তারা ভরাট করছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,বৃষ্টির দিনে রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে কাদা ও নোংরা পানি জমে থাকছে,রাস্তায় মানুষের চলাচল দুর্বিষহ হয়ে পরেছে যা ভবিষ্যতে যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে এবং জনসম্পদের অপচয় ঘটাবে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, বিশেষ করে ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় এই দখলবাণিজ্য চালিয়ে গেছেন। বর্তমানে তারা বিএনপি পরিচয়ে আবারও একইভাবে সক্রিয় রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতার সঙ্গেও তাদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে, বিশেষ করে সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে কামাল ও তার আত্মীয়দের সখ্যতার কথা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।এবং দিপুর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে (মনোয়ার হোসেন)ডিপজলের সাথে এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক দলবদলের সুযোগকে পুঁজি করে এই দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে গঠিত চক্রটি বর্তমানে দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতা বিস্তারে ব্যস্ত। অভিযোগ রয়েছে, চাঁদাবাজির অর্থের একটি বড় অংশ নিয়মিতভাবে হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফের কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। দিপু ও কামালসহ তাদের সহযোগীদের সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতেও দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে হানিফ এন্টারপ্রাইজের
জি,এম আলম ঢাকা ১৪ আসনের পলাতক হাসিনা সরকারের সংসদ সদস্য নিখিলের অর্থনৈতিক ডান হাত ছিলেন,আলম কে শেল্টারদাতা হিসেবে উল্লেখ করলেও স্থানীয়দের দাবি, হানিফ পরিবহনের মালিক হানিফের ছত্রছায়ায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সচেতন এলাকাবাসী দ্রুত এই অবৈধ দখল উচ্ছেদের দাবিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলেন, এ ধরনের বেআইনি দখল ও দুর্নীতি নগর উন্নয়ন ও সুশাসনের জন্য চরম হুমকি।
সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসককে একাধিকবার ফোন ও খুদেবার্তা দেওয়া হলেও কোনো জবাব মেলেনি।
এদিকে, দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগে প্রশাসনের অবস্থান জানতে চাইলে ডিএমপির দারুসসালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন,
“আপনি যে বিষয়ে চাঁদাবাজির কথা বলছেন, সেটি আমরা অবগত নই। আমরা খোঁজখবর নেব এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”