ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
নারী শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করেছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নোবেল ইসলাম সূর্য ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামের জন্মদিনে শুভেচ্ছার বন্যা পল্লবী থানা যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া হত্যার প্রতিবাদে যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের বিক্ষোভ মিছিল শ্রীনগরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জাল জালিয়াতি করে অন্যের জমি দখল নেওয়ার অভিযোগ পল্লবী যুবদল নেতা হত্যা: প্রধান আসামি জনি ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়: বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন স্বপ্নের দিগন্ত -তারেক রহমানের প্রতিক্রিয়া বিরামপুরে ট্রেনর যাত্রাবিরতি ও আসন বৃদ্ধির জন্য মানববন্ধনের প্রস্তুতিতে সংবাদ সম্মেলন রক্তের বন্ধন থেকে সুরের মেলবন্ধন: স্বীকৃতি ও লাবনীর গান আজ বাংলাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা

সিলভার মিক্স ট্যাবলেটের প্রয়োগ সম্পর্কে কৃষিবিদ এ কে আজাদের পরামর্শ

লেখক, আবুল কালাম আজাদ

সিলভার মিক্স ট্যাবলেটের প্রয়োগ সম্পর্কে কৃষিবিদ এ কে আজাদের পরামর্শ

সিলভার মিক্স ট্যাবলেট (SilvaMix) একটি ধীরগতিতে পুষ্টি সরবরাহকারী সার, যা গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।এটি পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহ করে।সিলভা মিক্স ট্যাবলেট গাছকে সুস্থ ও সবল রাখে এবং ছাদবাগান ও অন্যান্য টবে থাকা গাছের জন্য খুব উপযোগী।

সিলভার মিক্স ট্যাবলেটের ব্যবহার।

এটি গাছের গোড়ায় নির্দিষ্ট দূরত্বে পুঁতে দেওয়া হয়।প্রতিটি ট্যাবলেটে গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।একবার ব্যবহার করলে কয়েক মাস পর্যন্ত গাছ পুষ্টি পায়।এটি টব, ছাদবাগান ও ফল-ফুল গাছে ব্যবহারের জন্য আদর্শ।

পেপে চাষাবাদে মাসভিত্তিক করণীয় :

জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি: জমি নির্বাচন ও চাষ করা।গর্ত তৈরি (গর্তের আকার ৫০×৫০×৫০ সেমি)।গর্তে পচা গোবর/কম্পোস্ট, টিএসপি ও ছাই মিশিয়ে মাটি ভরাট।উন্নত জাতের বীজ বপন বা চারা প্রস্তুত করা।

মার্চ–এপ্রিল, চারা ৩০–৪০ দিন বয়স হলে গর্তে রোপণ।

গাছের গোড়ায় খুঁটি দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া,হালকা সেচ দেওয়া।রোগ-পোকার আক্রমণ আছে কিনা খেয়াল রাখা।

মে–জুন বৃষ্টির কারণে গাছের গোড়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।অতিরিক্ত ডালপালা কেটে ফেলা।টপড্রেসিং হিসেবে ইউরিয়া ও এমওপি প্রয়োগ।ভাইরাস আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা।

জুলাই–আগস্ট:ঝড় ও বৃষ্টির সময় খুঁটি দিয়ে গাছকে শক্ত করা।জমি আগাছামুক্ত রাখা।পাতা কুঁকড়ে যাওয়া বা মোজাইক ভাইরাস হলে আক্রান্ত পাতা তুলে ফেলা।জৈব কীটনাশক/অনুমোদিত রাসায়নিক প্রয়োগ।

সেপ্টেম্বর–অক্টোবর:নতুন ফুল ও ফল আসতে শুরু করবে।

নিয়মিত সেচ দেওয়া।সার ব্যবস্থাপনা অব্যাহত রাখা।ফল ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় খড়/পাতা দিয়ে আচ্ছাদন দেওয়া।

নভেম্বর–ডিসেম্বর:গাছে ফল বড় হতে থাকবে।রোগ-পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।প্রথম দিকের ফল সংগ্রহ শুরু করা যায়।নিয়মিত বাজারজাতকরণ করা।

এভাবে সারা বছর নিয়ম মেনে কাজ করলে পেপে গাছ থেকে টানা ১৮–২৪ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ কেন্দ্রীয় সভাপতি: বাংলাদেশ পেশাজীবী ফেডারেশন কৃষি লেখক ও কথক: বাংলাদেশ বেতার

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৩:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৩৪ বার পড়া হয়েছে

সিলভার মিক্স ট্যাবলেটের প্রয়োগ সম্পর্কে কৃষিবিদ এ কে আজাদের পরামর্শ

আপডেট সময় ০৩:৩৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলভার মিক্স ট্যাবলেটের প্রয়োগ সম্পর্কে কৃষিবিদ এ কে আজাদের পরামর্শ

সিলভার মিক্স ট্যাবলেট (SilvaMix) একটি ধীরগতিতে পুষ্টি সরবরাহকারী সার, যা গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।এটি পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সরবরাহ করে।সিলভা মিক্স ট্যাবলেট গাছকে সুস্থ ও সবল রাখে এবং ছাদবাগান ও অন্যান্য টবে থাকা গাছের জন্য খুব উপযোগী।

সিলভার মিক্স ট্যাবলেটের ব্যবহার।

এটি গাছের গোড়ায় নির্দিষ্ট দূরত্বে পুঁতে দেওয়া হয়।প্রতিটি ট্যাবলেটে গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন পটাশিয়াম, নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে।একবার ব্যবহার করলে কয়েক মাস পর্যন্ত গাছ পুষ্টি পায়।এটি টব, ছাদবাগান ও ফল-ফুল গাছে ব্যবহারের জন্য আদর্শ।

পেপে চাষাবাদে মাসভিত্তিক করণীয় :

জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি: জমি নির্বাচন ও চাষ করা।গর্ত তৈরি (গর্তের আকার ৫০×৫০×৫০ সেমি)।গর্তে পচা গোবর/কম্পোস্ট, টিএসপি ও ছাই মিশিয়ে মাটি ভরাট।উন্নত জাতের বীজ বপন বা চারা প্রস্তুত করা।

মার্চ–এপ্রিল, চারা ৩০–৪০ দিন বয়স হলে গর্তে রোপণ।

গাছের গোড়ায় খুঁটি দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া,হালকা সেচ দেওয়া।রোগ-পোকার আক্রমণ আছে কিনা খেয়াল রাখা।

মে–জুন বৃষ্টির কারণে গাছের গোড়ায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।অতিরিক্ত ডালপালা কেটে ফেলা।টপড্রেসিং হিসেবে ইউরিয়া ও এমওপি প্রয়োগ।ভাইরাস আক্রান্ত গাছ তুলে ফেলা।

জুলাই–আগস্ট:ঝড় ও বৃষ্টির সময় খুঁটি দিয়ে গাছকে শক্ত করা।জমি আগাছামুক্ত রাখা।পাতা কুঁকড়ে যাওয়া বা মোজাইক ভাইরাস হলে আক্রান্ত পাতা তুলে ফেলা।জৈব কীটনাশক/অনুমোদিত রাসায়নিক প্রয়োগ।

সেপ্টেম্বর–অক্টোবর:নতুন ফুল ও ফল আসতে শুরু করবে।

নিয়মিত সেচ দেওয়া।সার ব্যবস্থাপনা অব্যাহত রাখা।ফল ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় খড়/পাতা দিয়ে আচ্ছাদন দেওয়া।

নভেম্বর–ডিসেম্বর:গাছে ফল বড় হতে থাকবে।রোগ-পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা।প্রথম দিকের ফল সংগ্রহ শুরু করা যায়।নিয়মিত বাজারজাতকরণ করা।

এভাবে সারা বছর নিয়ম মেনে কাজ করলে পেপে গাছ থেকে টানা ১৮–২৪ মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়।

সরকার মো. আবুল কালাম আজাদ কেন্দ্রীয় সভাপতি: বাংলাদেশ পেশাজীবী ফেডারেশন কৃষি লেখক ও কথক: বাংলাদেশ বেতার