ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি- শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম প্রতিবন্ধী নাগরিকদের সঙ্গে তারেক রহমানের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তীব্র ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন ভারতীয় হাই কমিশনে হামলার প্রতিবাদে বাংলা কলেজ ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিল নতুন আইজিপি হলেন বাহারুল আলম বাসে উঠা নিয়ে হাতাহাতি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা জয়ের পরে যুদ্ধ অবসান ঘোষণা ডোনাল্ড ট্রামের এশিয়ান টিভির সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করায় তানভীর আহমেদের নামে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অপহরণের চেষ্টা, জীবনের নাশের হুমকিতে 

সিরাজদিখানে ড্রেজিংয়ের রমরমা বানিজ্য, প্রশাসন নিরব!

সিরাজদিখান প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের অবাধ চলাচল লক্ষ করা যাচ্ছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা বালুবাহী এসব বাল্কহেড বোঝাই করে বালু এনে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ফসলী জমি ভরাটের কারণে দিন দিন ফসলি জমির সংখ্যা কমার পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়,স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট দিন রাত ২৪ ঘন্টা বালুবাহী বাল্কহেড এনে ইছামতী নদীর তীরে নোঙর করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ফসলি জমি ভরাটসহ বালু মহল তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। উপজেলার যেসব স্থানে বালু মহল গড়ে তোলা হয়েছে সেসব বালু মহলের বৈধ কোন কাগজ পত্র নেই বললেই চলে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজিংয়ের অবৈধ কর্মযজ্ঞ চলছে অনেকটা জোড়ালো ভাবেই। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রশুনিয়া, ইছাপুরা, বয়রাগাদী,লতব্দী ও মালখানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সরকারী রাস্তার উপর দিয়ে, রাস্তা এপার ওপার করে কেটে ও রাস্তার নিচ দিয়ে বোরিং করে ড্রেজিংয়ের পাইপলাইন স্থাপনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে ফসলি জমি ভরাট করাহচ্ছে। এতে করে একদিকে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে। খালে তথা ইছামতি নদীতে বাল্কহেড চলাচল ও ফসলী জমি ভরাটে প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বিঘ্নে ফসলি জমি ভরাটের এমন কর্মযজ্ঞ চলছে অনেকটা জোড়ালো ভাবেই। এদিকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে সিরাজদিখান উপজেলার ১০ জন নিহত হওয়ার পর খালে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে উপজেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাঝে প্রায় বছর খানেরও কম সময় বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত দিন ২৪ ঘন্টা বালু্বাহী বাল্কহেড সিরাজদিখান উপজেলায় প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলার রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা মিলে ম্যানেজের মাধ্যমে বালু বোঝাই বাল্কহেড সিরাজদিখান উপজেলায় প্রবেশ করাচ্ছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সিরাজদিখান উপজেলায় বালু বোঝাই বাল্কহেড কি করে প্রবেশ করে এমন প্রশ্নও ছুরছেন অনেকে! এ ব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, আমি সরেজমিনে দেখেছি এবং এ ব্যপারে অভিযোগও আছে। শীঘ্রই আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
৩৮ বার পড়া হয়েছে

সিরাজদিখানে ড্রেজিংয়ের রমরমা বানিজ্য, প্রশাসন নিরব!

আপডেট সময় ০১:৫৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা ইছামতী নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের অবাধ চলাচল লক্ষ করা যাচ্ছে। দিন রাত ২৪ ঘন্টা বালুবাহী এসব বাল্কহেড বোঝাই করে বালু এনে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ফসলী জমি ভরাটের কারণে দিন দিন ফসলি জমির সংখ্যা কমার পাশাপাশি নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়,স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট দিন রাত ২৪ ঘন্টা বালুবাহী বাল্কহেড এনে ইছামতী নদীর তীরে নোঙর করে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ফসলি জমি ভরাটসহ বালু মহল তৈরি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। উপজেলার যেসব স্থানে বালু মহল গড়ে তোলা হয়েছে সেসব বালু মহলের বৈধ কোন কাগজ পত্র নেই বললেই চলে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ড্রেজিংয়ের অবৈধ কর্মযজ্ঞ চলছে অনেকটা জোড়ালো ভাবেই। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রশুনিয়া, ইছাপুরা, বয়রাগাদী,লতব্দী ও মালখানগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণের চলাচলের সরকারী রাস্তার উপর দিয়ে, রাস্তা এপার ওপার করে কেটে ও রাস্তার নিচ দিয়ে বোরিং করে ড্রেজিংয়ের পাইপলাইন স্থাপনের মাধ্যমে অবৈধ ভাবে ফসলি জমি ভরাট করাহচ্ছে। এতে করে একদিকে জনসাধারণের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অন্যদিকে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সরকারী রাস্তার ক্ষতি সাধন করা হচ্ছে। খালে তথা ইছামতি নদীতে বাল্কহেড চলাচল ও ফসলী জমি ভরাটে প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্বিঘ্নে ফসলি জমি ভরাটের এমন কর্মযজ্ঞ চলছে অনেকটা জোড়ালো ভাবেই। এদিকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে সিরাজদিখান উপজেলার ১০ জন নিহত হওয়ার পর খালে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে উপজেলা প্রশাসন, নৌ পুলিশ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) নির্দেশনা দেওয়া হয়। মাঝে প্রায় বছর খানেরও কম সময় বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাত দিন ২৪ ঘন্টা বালু্বাহী বাল্কহেড সিরাজদিখান উপজেলায় প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলার রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা মিলে ম্যানেজের মাধ্যমে বালু বোঝাই বাল্কহেড সিরাজদিখান উপজেলায় প্রবেশ করাচ্ছেন এমন অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সিরাজদিখান উপজেলায় বালু বোঝাই বাল্কহেড কি করে প্রবেশ করে এমন প্রশ্নও ছুরছেন অনেকে! এ ব্যপারে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, আমি সরেজমিনে দেখেছি এবং এ ব্যপারে অভিযোগও আছে। শীঘ্রই আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।