মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট আপিল! জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি


মুন্সিগঞ্জ জেলা সংলগ্ন চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে উচ্চ আদালতে রিট আপিল। জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি প্রদান। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মধ্যচার রমজানবেগ ও ভাষানচর বালুমহাল এবং গজারিয়া উপজেলার নয়ানগর, রমজানবেগ, ষোলআনী ও চরকালীপুর বালুমহালসমূহ হাইড্রোগ্রাফিক চাটানদী চ্যানেল এলাকা ব্যতীত বাংলা ১৪৩২ সনের ইজারা প্রদানের তারিখ হতে ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ইজারা প্রদানের নিমিত্ত তালিকাভুক্ত করা হয়।
০৫.৩০.৫৮০০.৩০০.১৬.০০১.১৭-২৫৫, নং স্মারকে ২৪ মার্চ ২০২৫ইং তারিখের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক বালুমহাল ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি (দরখাস্ত আহবান) করে। অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় কৃষি ও নদী গর্ভে বিলিন হওয়া ভুক্তভোগী গ্রামবাসী বালুমহাল বন্ধের দাবিতে ২০ মার্চ-২০২৫ তারিখে উচ্চ আদালতে রিট আপিল করে। আপিলকারীরা জানান, ২৭ মার্চ-২০২৫ ইং তারিখে ওই আপিলের প্রেক্ষিতে বালুমহালসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশক্রমে জেলা প্রশাসক মুন্সীগঞ্জ বরাবরে একটি নোটিশ জারি করে।
অনুসন্ধানে আরোও জানা যায়, মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বহুবার মামলা-হামলা, মারামারি, রক্তাক্ত জখম, হত্যাসহ নানা ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। এমনকি গুমের অভিযোগও রয়েছে। ধারণা করা হয় অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এসকল অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এই অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে দফায় দফায় মানববন্ধন করেও নিস্তার পাননি এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিদিন মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার দুটি পক্ষ বালু উত্তোলন করে আসছে। দুটি পক্ষই নৌ ডাকাত হিসেবে পরিচিত। এ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলমান।
পূর্বে ইজারাদার আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দোষর চরকেউয়াট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আফছু বালু উত্তোলনের ইজারা নিলেও নির্দিষ্ট সীমানার বাহিরে বালু উত্তোলন করায় এলাকার বিভেদ সৃষ্টি হয়। বর্তমানে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে অমান্য করে স্থানীয় কিছু নেতা নামধারী পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাতের কাছে জানতে চেয়ে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তিনি মুঠোফোন কলটি রিসিভ করে নি।