সংবাদ শিরোনাম
শাহআলী থানা যুবদল কর্মী আসিফ শিকদারের মৃত্যুতে সাজ্জাদুল মিরাজের স্টাটাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেনাবাহিনীর হাতে নির্মম নির্যাতনের কারণেই কি হত্যার শিকার হয়েছে শাহআলী থানা যুবদলের কর্মী আসিফ শিকদার নাকি শাহআলী থানা হাজতে আসিফ শিকদারের মৃত্যু ধোঁয়াশা কাটছেনা কিছুতেই,তবে পরিবারের দাবি সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিবারের লোকজনের সামনেই প্রচুর নির্যাতন করেছেন আসিফ সিকদারকে।
এমন কি অপরাধে আসিফ সিকদার কে গ্রেফতার করা হলো এবং এমন নির্মমহত্যার শিকার হতে হল যা অধরাই থেকে গেল সাধারণ মানুষদের মাঝে।
এসবের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ তার নিজ ফেসবুক ওয়ালে এমনই একটি স্ট্যাটাস তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাহার ওয়ালের লেখা হুবহু তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথমেই ধিক্কার জানাই মানুষ রুপি হায়নাদের যারা রাস্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থেকে একজন ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় যোদ্ধা কে তার বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রী সন্তানের সামনে নির্মমভাবে পিটিয়ে ইলেকট্রিক সট দিয়ে হত্যা করেছে তার একটাই অপরাধ সে যুবদল করে, শত শত প্রানের বিনিময়ে স্বৈরাচার বিদায় করার পরেও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোষরদের হাতে আমাদের জীবন দিতে হচ্ছে এর চেয়ে দুঃখজনক বিষয় আর হতে পারে না।
আসিফ শিকদার ছিলেন শাহ্আলী থানা আওতাধীন ৯৩নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব এবং বর্তমান থানা যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী। তার বয়স আনুমানিক ৩২ বছর।
দেশের সুশীল সমাজ এবং প্রতিটি বিবেকবান মানুষের প্রতি বিনীত অনুরোধ এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া আমাদের প্রয়োজন নয়তো আজ আসিফ হত্যা হয়েছে কাল আপনি এবং আমি এই বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের স্বীকার হবো….,। প্রশ্ন হল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কোন অপরাধে গ্রেফতার হতেই পারে, তবে তারা একজনের বাড়িতে গিয়ে গ্রেপ্তার করে বাহিরে এনে সিভিল পোশাকে এমন নির্মাণ অত্যাচার যা সিহরে ওঠার মত সম্প্রীতি একটি সিসি ক্যামেরা ভিডিও ফুটেছে তা প্রতিীয়মান হয়েছে, কত নির্দয় হলে এমন অত্যাচার করতে পারে। পরিবার সূত্র বিষয়টি জানা যায় কোন পূর্ব শত্রুতার জের অথবা কার প্ররোচনায় এমন ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবার থেকে আরো বলা হয় গতকাল পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টি আসিফ শিকদার কে তার বাসা থেকে ধরে নেয় এবং পরিবারের লোকের সামনে বেধড়ক পেটানো হয়, একপর্যায়ে তাকে নিচে নিয়ে আসে সিভিল লোকদেরকে দিয়ে নির্মম অত্যাচারের কারণে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কালো দাগ রেস এমনকি শর্ট সার্কিটে টর্চার করার চিহ্ন পাওয়া গেছে শরীরের। টর্চারের এক পর্যায়ে সকাল আনুমানিক সাড়ে নটার দিকে সেনাবাহিনীর একটি টি শাহ আলী থানায় আছে শিকদারকে হস্তান্তর করেন। হস্তাক্ষরের কিছুক্ষণ পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয় বলে পরিবার দাবি করেন।এদিকে আসিফ শিকদারের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গন ও শাহআলী এলাকায় শোকের মাতম বইছে।
সংবাদ প্রকাশের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত মৃত আসিফ সিকদারের মরদেহটি হাসপাতাল মর্গে আছে বলে জানা গেছে।এ বিষয়ে শাহআলী থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব শফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ট্যাগস :