ঢাকা ১২:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কালুখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের সর্বস্ব পুড়ে ছাই গাবতলীতে সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখল করে বানিজ্য, হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই দিপু ও কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ শ্রীনগরে অপহরণ মামলা হতে বাঁচতে মিথ্যা প্রতারনা মামলায় অপহৃতা কে হয়রানির অভিযোগ রাজবাড়ীর পাংশায় মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত ১ এবং আহত ১জন ১০ লাখ টাকার হেরোইন সহ মামলা গায়েবের অভিযোগ মোহাম্মদপুরের ওসি ইফতেখার সাংবাদিকের ফোন ছিনতাই, দায়িত্বে অবহেলায় ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার শ্যামলীতে লিফট ঘটনার জেরে হাসপাতালের ভেতরে উত্তেজনা,বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অরাজকতার অভিযোগ মাদকে ভাসছে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সীমান্তের কয়েকটি উপজেলা  আসিফ শিকদারের সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব -সাজ্জাদুল মিরাজ উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

শ্রীনগরে অপহরণ মামলা হতে বাঁচতে মিথ্যা প্রতারনা মামলায় অপহৃতা কে হয়রানির অভিযোগ

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের  শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালীতে অপহরণ মামলা হতে বাঁচতে আসামী পক্ষ আদালতে মিথ্যা মামলা করে বাদি পক্ষের শেখ সালাম (৪৯)সহ তার পরিবার কে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।মামলার বাদি লাখি পিতা আঃ মালেক বিবাহের পর স্বামী বাড়ি না গিয়ে সালামের বাড়ির পাশে বসতি গড়েন।স্বামী প্রবাসে থাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে রাত্রি যাপন করতে গিয়ে কয়েক দফায় ধরা পরনে।কিন্তু প্রতিবারই স্হানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বহাল তবিয়তে রয়ে যায়।তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আঃ সালামের ছেলে সজিব বাদী হয়ে আঃ মালেক (৭০)পিত মৃত শেখ চুনকু।আফজাল (৫০) শাহনাজ(৪০) উভয় পিতা মৃত শেখ হযরত আলী।লাকী (৩৫)পিতা আঃ মালেক এর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৩৪৪ /২২। উক্ত মামলায় বিবাদীরা মুচলেকা দিয়ে ছাঁড়া পেয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকি দিতে থাকেন। নিরাপত্তার স্বার্থে আঃ সালামের পরিবারের পক্ষ হতে শ্রীনগর থানায় কয়েক টি জিডি দায়ের করা হয়। বিগত কয়েক বছর পূর্ব হতেই সালাম এর স্ত্রী শিরিন বেগম ঢাকায় সেনাবাহিনীর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসায় কাজ করে আসছিলেন।বিগত ২৪/১১/২০২২ ঢাকা হতে নবাবগঞ্জের বান্দুরা সাদ্দার মিয়ার ছেলেকে পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিতে তার বাড়িতে পৌঁছলে পূর্ব হতে উৎ পেতে থাকা অপহরণকারী লাখি চক্র জোর পূর্বক টেনে হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে গাড়িতে তুলে নেন।উক্ত লাখি চক্র লাথি উস্টা মারতে মারতে শিরিন কে গাড়িতে তোলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। মাওয়া পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে হাত পা বেধে ব্যপক মারধর করে তাদের নিকট থাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করতে বলেন, সে রাজি না হওয়ায় ঐদিন সন্ধ্যায় বাড়ৈখালী ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার তাসু দেওয়ানের বাড়িতে আটক করে শিরিন বেগমের নিকট থাকা লাগেজ ভেঙে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, দলিল- পত্র,ব্যবহৃত মোবাইল,চিকিৎসা পত্রের ফাইল সহ বিভিন্ন মূলবান নথি পত্র নিয়ে নেন।কথিত শালিস বসিয়ে সেখানে স্টাম্পে স্বাক্ষর দাবি করে প্রচন্ড মারধর করলে তার শারিরীক অবস্হার চরম অবনতি হলে বাড়ির মালিক তাসু দেওয়ান বিষয় টি বাড়ৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, বীর মুক্তিযুদ্ধা, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মাস্টার কে অবগত করেন।তার হস্তক্ষেপ লাখিদের জিম্মা হতে অপহৃতার ছেলে সজিব ও স্বামী আঃ সালাম তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ সরকারী সাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।উক্ত ঘটনায় শ্রীনগর ও নবাবগঞ্জ থানা অদৃশ্য কারনে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।অবশেষে আহত শিরিন বাদি হয়ে উক্ত ৫ জনসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনকে আসামি করে ঢাকা আদালত একটি মামলা দায়ের করেন যার নং৬৪৩/২২ (নবাবগঞ্জ)।মামলাটি বর্তমানে পিবিআই এর নিকট তদন্তাধীন রয়েছে।অপহরণ মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রতারক লাখি বাদি হয়ে মুন্সিগন্জ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।যার নং৪৯৭/২২।মিথ্যা মামলার এজাহারে দেখা যায়,যে দিন শিরিন বেগম কে অপহরণ করা হয় ঐদিন তারা জানতে পারেন নবাবগঞ্জ থানাধীন ৬ নং আসামির বাড়িতে শিরিন বেগম আত্মগোপন করে আছেন।স্হানীয় চেয়ারম্যানের পরামর্শে স্বাক্ষীদের নিয়ে নবাবগঞ্জ ৬ নং আসামির বাড়ি হতে তাসু দেওয়ানের বাড়িতে নিয়ে আসেন।উক্ত কথিত সালিশে শিরিন বেগম বলেন,আমি কোন টাকা পয়সা নেই নাই,বায়না নেই নাই, তবে আমি রেজিস্টি কেন দিবো অর্থাৎ শিরিন কে অপহরণ ও মারধর কে ধামা চাঁপা দিতে ও নিজেদের আইন হতে রক্ষা করতে নিজেরাই উল্টো আদালতে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেন।অন্য দিকে শিরিন বেগম ঢাকায় কাজ করা কালীন কোন রুপ কারন দর্শানো ছাড়াই স্বামী সালাম ও ছেলে সজিব কে ইউনিয়ন পরিষদে সালিসি ডেকে লাখি চক্রের নিকট জমি ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন স্হানীয় সালিশ পরিষদ মূলত লাখির অপকর্মের বিষয় শিরিনদের মুখ না খুঁলতে বিভিন্ন সময় চাপ তৈরী করে আসছিলেন।তার সূত্র ধরে দূশ্চরিত্রা লাখি বিভিন্ন সময় লোক মারফত বাড়ি ঘরে ঢিল ছুরে মারাসহ,ক্ষতিসাধন করতে থাকেন বাধ্য হয়ে ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী শ্রীনগর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন যার নং-৭৯৭। উক্ত চক্রের বিরুদ্ধে অপরের দলিল সংগ্রহ করে সমিতি হতে ঝৃণ গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে।এ ব্যপারে অপহৃতার স্বামী আঃ সালাম বলেন, “বিবাদীর সাথে যেহেতু পূর্ব হতে বিরোধ এবং একাধিক মামলা চলমান সেখানে কি করে আমার স্ত্রী তাদের নিকট জমি বায়না রাখবেন।তারা অপহরন নির্যাতন করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন”।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
৯ বার পড়া হয়েছে

শ্রীনগরে অপহরণ মামলা হতে বাঁচতে মিথ্যা প্রতারনা মামলায় অপহৃতা কে হয়রানির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৪:৪৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

মুন্সিগঞ্জের  শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালীতে অপহরণ মামলা হতে বাঁচতে আসামী পক্ষ আদালতে মিথ্যা মামলা করে বাদি পক্ষের শেখ সালাম (৪৯)সহ তার পরিবার কে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।মামলার বাদি লাখি পিতা আঃ মালেক বিবাহের পর স্বামী বাড়ি না গিয়ে সালামের বাড়ির পাশে বসতি গড়েন।স্বামী প্রবাসে থাকায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পর পুরুষের সাথে রাত্রি যাপন করতে গিয়ে কয়েক দফায় ধরা পরনে।কিন্তু প্রতিবারই স্হানীয় প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে বহাল তবিয়তে রয়ে যায়।তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আঃ সালামের ছেলে সজিব বাদী হয়ে আঃ মালেক (৭০)পিত মৃত শেখ চুনকু।আফজাল (৫০) শাহনাজ(৪০) উভয় পিতা মৃত শেখ হযরত আলী।লাকী (৩৫)পিতা আঃ মালেক এর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং ৩৪৪ /২২। উক্ত মামলায় বিবাদীরা মুচলেকা দিয়ে ছাঁড়া পেয়ে আরও আগ্রাসী হয়ে বিভিন্ন সময় খুন জখমের হুমকি দিতে থাকেন। নিরাপত্তার স্বার্থে আঃ সালামের পরিবারের পক্ষ হতে শ্রীনগর থানায় কয়েক টি জিডি দায়ের করা হয়। বিগত কয়েক বছর পূর্ব হতেই সালাম এর স্ত্রী শিরিন বেগম ঢাকায় সেনাবাহিনীর এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বাসায় কাজ করে আসছিলেন।বিগত ২৪/১১/২০২২ ঢাকা হতে নবাবগঞ্জের বান্দুরা সাদ্দার মিয়ার ছেলেকে পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিতে তার বাড়িতে পৌঁছলে পূর্ব হতে উৎ পেতে থাকা অপহরণকারী লাখি চক্র জোর পূর্বক টেনে হেঁচড়ে ঘর থেকে বের করে গাড়িতে তুলে নেন।উক্ত লাখি চক্র লাথি উস্টা মারতে মারতে শিরিন কে গাড়িতে তোলে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। মাওয়া পদ্মা নদীর পাড়ে নিয়ে হাত পা বেধে ব্যপক মারধর করে তাদের নিকট থাকা স্টাম্পে স্বাক্ষর করতে বলেন, সে রাজি না হওয়ায় ঐদিন সন্ধ্যায় বাড়ৈখালী ৭ নং ওয়ার্ড এলাকার তাসু দেওয়ানের বাড়িতে আটক করে শিরিন বেগমের নিকট থাকা লাগেজ ভেঙে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, দলিল- পত্র,ব্যবহৃত মোবাইল,চিকিৎসা পত্রের ফাইল সহ বিভিন্ন মূলবান নথি পত্র নিয়ে নেন।কথিত শালিস বসিয়ে সেখানে স্টাম্পে স্বাক্ষর দাবি করে প্রচন্ড মারধর করলে তার শারিরীক অবস্হার চরম অবনতি হলে বাড়ির মালিক তাসু দেওয়ান বিষয় টি বাড়ৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি, বীর মুক্তিযুদ্ধা, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন মাস্টার কে অবগত করেন।তার হস্তক্ষেপ লাখিদের জিম্মা হতে অপহৃতার ছেলে সজিব ও স্বামী আঃ সালাম তাকে উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ সরকারী সাস্হ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।উক্ত ঘটনায় শ্রীনগর ও নবাবগঞ্জ থানা অদৃশ্য কারনে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।অবশেষে আহত শিরিন বাদি হয়ে উক্ত ৫ জনসহ অজ্ঞাত নামা ৩/৪ জনকে আসামি করে ঢাকা আদালত একটি মামলা দায়ের করেন যার নং৬৪৩/২২ (নবাবগঞ্জ)।মামলাটি বর্তমানে পিবিআই এর নিকট তদন্তাধীন রয়েছে।অপহরণ মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রতারক লাখি বাদি হয়ে মুন্সিগন্জ আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।যার নং৪৯৭/২২।মিথ্যা মামলার এজাহারে দেখা যায়,যে দিন শিরিন বেগম কে অপহরণ করা হয় ঐদিন তারা জানতে পারেন নবাবগঞ্জ থানাধীন ৬ নং আসামির বাড়িতে শিরিন বেগম আত্মগোপন করে আছেন।স্হানীয় চেয়ারম্যানের পরামর্শে স্বাক্ষীদের নিয়ে নবাবগঞ্জ ৬ নং আসামির বাড়ি হতে তাসু দেওয়ানের বাড়িতে নিয়ে আসেন।উক্ত কথিত সালিশে শিরিন বেগম বলেন,আমি কোন টাকা পয়সা নেই নাই,বায়না নেই নাই, তবে আমি রেজিস্টি কেন দিবো অর্থাৎ শিরিন কে অপহরণ ও মারধর কে ধামা চাঁপা দিতে ও নিজেদের আইন হতে রক্ষা করতে নিজেরাই উল্টো আদালতে মিথ্যা মামলা ঠুকে দেন।অন্য দিকে শিরিন বেগম ঢাকায় কাজ করা কালীন কোন রুপ কারন দর্শানো ছাড়াই স্বামী সালাম ও ছেলে সজিব কে ইউনিয়ন পরিষদে সালিসি ডেকে লাখি চক্রের নিকট জমি ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন স্হানীয় সালিশ পরিষদ মূলত লাখির অপকর্মের বিষয় শিরিনদের মুখ না খুঁলতে বিভিন্ন সময় চাপ তৈরী করে আসছিলেন।তার সূত্র ধরে দূশ্চরিত্রা লাখি বিভিন্ন সময় লোক মারফত বাড়ি ঘরে ঢিল ছুরে মারাসহ,ক্ষতিসাধন করতে থাকেন বাধ্য হয়ে ২০০৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী শ্রীনগর থানায় একটি জিডি দায়ের করেন যার নং-৭৯৭। উক্ত চক্রের বিরুদ্ধে অপরের দলিল সংগ্রহ করে সমিতি হতে ঝৃণ গ্রহনের অভিযোগ রয়েছে।এ ব্যপারে অপহৃতার স্বামী আঃ সালাম বলেন, “বিবাদীর সাথে যেহেতু পূর্ব হতে বিরোধ এবং একাধিক মামলা চলমান সেখানে কি করে আমার স্ত্রী তাদের নিকট জমি বায়না রাখবেন।তারা অপহরন নির্যাতন করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন”।