ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
কালুখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের সর্বস্ব পুড়ে ছাই গাবতলীতে সিটি কর্পোরেশনের জায়গা দখল করে বানিজ্য, হত্যা মামলার আসামি দুই ভাই দিপু ও কামালের বিরুদ্ধে অভিযোগ শ্রীনগরে অপহরণ মামলা হতে বাঁচতে মিথ্যা প্রতারনা মামলায় অপহৃতা কে হয়রানির অভিযোগ রাজবাড়ীর পাংশায় মোটর সাইকেল দূর্ঘটনায় নিহত ১ এবং আহত ১জন ১০ লাখ টাকার হেরোইন সহ মামলা গায়েবের অভিযোগ মোহাম্মদপুরের ওসি ইফতেখার সাংবাদিকের ফোন ছিনতাই, দায়িত্বে অবহেলায় ৪ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার শ্যামলীতে লিফট ঘটনার জেরে হাসপাতালের ভেতরে উত্তেজনা,বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অরাজকতার অভিযোগ মাদকে ভাসছে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সীমান্তের কয়েকটি উপজেলা  আসিফ শিকদারের সন্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব -সাজ্জাদুল মিরাজ উল্লাপাড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেফতার

মাদকে ভাসছে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সীমান্তের কয়েকটি উপজেলা 

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের সীমান্ত এলাকা শ্রীনগরের বাড়ৈখালী এবং হাঁসাড়া। নবাবগঞ্জের চুড়াইন,গালিমপুর ও আগলা এবং সিরাজদিখানের শেখরনগর ও চিত্রকোর্ট ইউনিয়ন মাদকের হটস্পটে পরিনত হয়েছে। উক্ত ইউনিয়ন গুলোর মাদক ব্যবসায়ীরা ভৌগোলিক সীমা রেখা কাজে লাগিয়ে দেদারসে চালাচ্ছে তাদের মাদক বিকিকিনি। ভয়ংকর মাদকের প্রভাবে বাড়ৈখালী তে ইতোমধ্যে তিন জনের মৃত্যু হলেও সচেতনতা নেই জন সমাজে।নুর মুহাম্মদ বেপারি(৩২) পিতা আব্দুল ছাত্তার বেপারি,রিপন বাবুর্চি (৫৫) পিতা মৃত রজ্জব আলী,শাহাদাত হোসেন (৫৫) পিতা মৃত আব্দুল রহমান।আরিফুল (২৮) পিতা নান্নু মিয়া। ইমরান(২৭) নানা মহর আলী।সাং খাহ্রা। রাসেল খান(৪৫) পিতা মৃত মুজাহার খান,সাং খাহ্রা।শাহাদাত (৫৫) পিতা মৃত আব্দুল রহমান।এবং মদন খালীর জসিম (৪০) দীর্ঘ দিন অত্র এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছে।

বাড়ৈখালী ৭ নং ওয়ার্ড শহীদের পুত্র শাকিল (৩০) দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে তার দৈনিক বিক্রির পরিমাণ ১০০ থেকে ১৫০ পিচ।মাসে যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার পিচ। শ্রীধরপুর এলাকায় তার মাদকের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত কে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী তাকে আটক করলে তার সাঙ্গ পাঙ্গরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান উল্টো গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অর্থ।ইতোপূর্বে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ কেরানীগঞ্জ হতে ডিবির হাতে আটক হলেও জামিনে এসে ফের শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা।তার বিরুদ্ধে মন্দিরে মূর্তি ভাংচুর সহ একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। মাদক কারবারি শাকিলের সাথে আড়িয়াল বিল ভ্রম‌ণে গি‌য়ে বিষাক্ত মদ পানে মুত‌্যু হয় স্হানীয় অ‌টো চালক সো‌হে‌লের নাবালক পু‌ত্রের। শ্রীধরপুর বড় ঘাট সংলগ্ন পরিত্যক্ত কিন্ডারগার্টেনে ব্যবসা শুরু করেন শাকিল। স্হানীয় মেম্বার এবং জনগণের ক্ষোভের মুখে স্হান ত্যাগ করে বর্তমানে বাড়িতে বসেই চালাচ্ছে তার মাদক বিকিকিনি। বাড়ৈখালী ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হাটি খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ রাহাত প্রায় এক যোগ ধরে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ হাটি মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজে এবং এর আশ পাশ সীমানা হতে দৈনিক শত শত ইয়াবা বিক্রি করার সূর্নিদিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।রাহাত নিজেকে অটোচালক পরিচয়ে মাদক বহন করে কখনো তাকে যাত্রী নিতে দেখা যায় না।তার বিরুদ্ধে মাদক,চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোর্ট এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাদক পরিবহন কালে জনতা সমেত পুলিশের হাতে আটক হন জামিনে এসে ফের শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা।২০২৪ সালে বাড়ৈখালী প্রগতি সংসদ ক্লাবের ভিতর মাদক সেবন কালীন ২০ পিচ ইয়াবাসহ জনতার হাতে আটক হয় কিন্তু স্হানীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে মুক্ত করে নেন বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা। শ্রীধরপুরের মাটি ও ডেজার ব্যবসায়ী আলামিন (৩৫) পিতা মহিউদ্দিন দিল মোহাম্মদ (৩৮)কসাই শামীম (৩৫) চক্রটি বাড়ৈখালী, চুড়াইন,গালিমপুরসহ আশ পাশ এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে, তাদের মূল হোতা ৬ নং ওয়ার্ড খাহ্রার আব্দুল হালিমের পুত্র ইমরান ওরফে জগা। তার ভাগিনা জুম্মান (২২) তার অপর সহযোগীরা হলঃ ফেরদৌস (২৭)পিতা, হেলাল খান,খাহ্রা স্বপন (৩৫) ও সাগর (৪৫) উভয় পিতা, আব্দুল আজিজ।

৩ নং ওয়ার্ড শিবরামপুরে বছরের পর বছর প্রকাশ্য মাদকের হাট বসিয়েছেন মৃত কাইয়ুমের পুত্র সেলিম ওরফে কাইলা সেলিম তার শ্যালক ভন্ড কাঁচি ফকিরের ছেলে সিফাত (২৬)। দৈনিক তার বিক্রির পরিমাণ শত-শত।দীর্ঘ অপরাধ আমলে তার টিকিটিও ছুঁতে পারেনি প্রশাসন।উক্ত এলাকায় কোটি কোটি টাকার গরু চুরি যাওয়ার নেপথ্য নায়কেরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। সেলিমের কোন কর্ম না থাকলেও মাদক বিক্রি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ। তারা রাতের রাজা,ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস টুকু কারও যেন নাই। শিবরামপুর ভৌগোলিক সীমা রেখা কাজে লাগিয়ে ভয়ংকর মাদকের নেশায় জড়িয়ে পরেছে আরও ২০/২৫ জন যুবক।তাদের ঢাল হয়ে আছে স্বৈরাচার আমলের কিছু শীর্ষ মাদক কারবারি। স্বৈরাচার আমলের কারবারিদের ঢাল হয়েছে কিছু বিএনপি নামধারী কুলাঙ্গার।

শ্রীধরপুর অপর শীর্ষ ইয়াবা ও গাঁজার পাইকারি বিক্রেতা আলমাস।বিগত সময় বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এবং স্হানীয় শত শত ক্ষুব্ধ জনতা মাদক কারবারি দের ঘড় বাড়ি তল্লাশি কালে শ্রীধরপুর দীঘির পাড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে শীর্ষ মাদক কারবারি কালাচান কে মাদকসহ পুলিশে সুর্পদ করা হয় অপর মাদক ব্যবসায়ী আলমাস শ্রীধরপুর কবরস্থান সংলগ্ন তার ভাড়া বাসা হতে পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি হতে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।সরকার পতনের পর ফের হঠাৎ করে শ্রীধরপুর এলাকায় এসে পাইকারি এবং খুচরা গাঁজা এবং ইয়াবার ব্যবসা শুরু করেন বলে জানা গেছে।
বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল মাদক নির্মুল করা। সেই অনুযায়ী নির্বাচনে পাশ করার পর সমাজের সচেতন লোকজনদের সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই এবং কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করি। ১৪দিনের মাথায় তারা আবার চলে আসে। এখন লোকজনদের বললে তারা জানায়, এত তাড়াতাড়ি মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেল, আবার যদি আমরা তাদের ধরে দেই তাহলে আবার চলে আসবে এবং আমরা রাত বিরাত একা চলাফেরা করি। কখন জানি আবার তারা আমাদের উপর আক্রমন করেন।কারন মাদক ব্যবসায়ীদের চেয়ে আমরা সংখ্যায় কম। তবে প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় এলাকাবাসিসহ আমরা মাদক নির্মুল করতে সক্ষম হবে।

ট্যাগস :
আপডেট সময় ০৮:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
১০ বার পড়া হয়েছে

মাদকে ভাসছে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ সীমান্তের কয়েকটি উপজেলা 

আপডেট সময় ০৮:৩৪:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জের সীমান্ত এলাকা শ্রীনগরের বাড়ৈখালী এবং হাঁসাড়া। নবাবগঞ্জের চুড়াইন,গালিমপুর ও আগলা এবং সিরাজদিখানের শেখরনগর ও চিত্রকোর্ট ইউনিয়ন মাদকের হটস্পটে পরিনত হয়েছে। উক্ত ইউনিয়ন গুলোর মাদক ব্যবসায়ীরা ভৌগোলিক সীমা রেখা কাজে লাগিয়ে দেদারসে চালাচ্ছে তাদের মাদক বিকিকিনি। ভয়ংকর মাদকের প্রভাবে বাড়ৈখালী তে ইতোমধ্যে তিন জনের মৃত্যু হলেও সচেতনতা নেই জন সমাজে।নুর মুহাম্মদ বেপারি(৩২) পিতা আব্দুল ছাত্তার বেপারি,রিপন বাবুর্চি (৫৫) পিতা মৃত রজ্জব আলী,শাহাদাত হোসেন (৫৫) পিতা মৃত আব্দুল রহমান।আরিফুল (২৮) পিতা নান্নু মিয়া। ইমরান(২৭) নানা মহর আলী।সাং খাহ্রা। রাসেল খান(৪৫) পিতা মৃত মুজাহার খান,সাং খাহ্রা।শাহাদাত (৫৫) পিতা মৃত আব্দুল রহমান।এবং মদন খালীর জসিম (৪০) দীর্ঘ দিন অত্র এলাকায় মাদকের ব্যবসা করে আসছে।

বাড়ৈখালী ৭ নং ওয়ার্ড শহীদের পুত্র শাকিল (৩০) দীর্ঘ দিন ধরে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে তার দৈনিক বিক্রির পরিমাণ ১০০ থেকে ১৫০ পিচ।মাসে যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার পিচ। শ্রীধরপুর এলাকায় তার মাদকের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত কে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী তাকে আটক করলে তার সাঙ্গ পাঙ্গরা তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান উল্টো গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হাতিয়ে নেন মোটা অর্থ।ইতোপূর্বে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ কেরানীগঞ্জ হতে ডিবির হাতে আটক হলেও জামিনে এসে ফের শুরু করে ইয়াবা ব্যবসা।তার বিরুদ্ধে মন্দিরে মূর্তি ভাংচুর সহ একাধিক মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। মাদক কারবারি শাকিলের সাথে আড়িয়াল বিল ভ্রম‌ণে গি‌য়ে বিষাক্ত মদ পানে মুত‌্যু হয় স্হানীয় অ‌টো চালক সো‌হে‌লের নাবালক পু‌ত্রের। শ্রীধরপুর বড় ঘাট সংলগ্ন পরিত্যক্ত কিন্ডারগার্টেনে ব্যবসা শুরু করেন শাকিল। স্হানীয় মেম্বার এবং জনগণের ক্ষোভের মুখে স্হান ত্যাগ করে বর্তমানে বাড়িতে বসেই চালাচ্ছে তার মাদক বিকিকিনি। বাড়ৈখালী ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ হাটি খলিলুর রহমানের ছেলে মোঃ রাহাত প্রায় এক যোগ ধরে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ হাটি মসজিদ সংলগ্ন ব্রীজে এবং এর আশ পাশ সীমানা হতে দৈনিক শত শত ইয়াবা বিক্রি করার সূর্নিদিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে।রাহাত নিজেকে অটোচালক পরিচয়ে মাদক বহন করে কখনো তাকে যাত্রী নিতে দেখা যায় না।তার বিরুদ্ধে মাদক,চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ইতোপূর্বে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোর্ট এলাকায় বিপুল পরিমাণ মাদক পরিবহন কালে জনতা সমেত পুলিশের হাতে আটক হন জামিনে এসে ফের শুরু করেন ইয়াবা ব্যবসা।২০২৪ সালে বাড়ৈখালী প্রগতি সংসদ ক্লাবের ভিতর মাদক সেবন কালীন ২০ পিচ ইয়াবাসহ জনতার হাতে আটক হয় কিন্তু স্হানীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে মুক্ত করে নেন বলে জানিয়েছেন স্হানীয়রা। শ্রীধরপুরের মাটি ও ডেজার ব্যবসায়ী আলামিন (৩৫) পিতা মহিউদ্দিন দিল মোহাম্মদ (৩৮)কসাই শামীম (৩৫) চক্রটি বাড়ৈখালী, চুড়াইন,গালিমপুরসহ আশ পাশ এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে, তাদের মূল হোতা ৬ নং ওয়ার্ড খাহ্রার আব্দুল হালিমের পুত্র ইমরান ওরফে জগা। তার ভাগিনা জুম্মান (২২) তার অপর সহযোগীরা হলঃ ফেরদৌস (২৭)পিতা, হেলাল খান,খাহ্রা স্বপন (৩৫) ও সাগর (৪৫) উভয় পিতা, আব্দুল আজিজ।

৩ নং ওয়ার্ড শিবরামপুরে বছরের পর বছর প্রকাশ্য মাদকের হাট বসিয়েছেন মৃত কাইয়ুমের পুত্র সেলিম ওরফে কাইলা সেলিম তার শ্যালক ভন্ড কাঁচি ফকিরের ছেলে সিফাত (২৬)। দৈনিক তার বিক্রির পরিমাণ শত-শত।দীর্ঘ অপরাধ আমলে তার টিকিটিও ছুঁতে পারেনি প্রশাসন।উক্ত এলাকায় কোটি কোটি টাকার গরু চুরি যাওয়ার নেপথ্য নায়কেরা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত বলে জানা গেছে। সেলিমের কোন কর্ম না থাকলেও মাদক বিক্রি করে আঙুল ফুলে কলাগাছ। তারা রাতের রাজা,ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস টুকু কারও যেন নাই। শিবরামপুর ভৌগোলিক সীমা রেখা কাজে লাগিয়ে ভয়ংকর মাদকের নেশায় জড়িয়ে পরেছে আরও ২০/২৫ জন যুবক।তাদের ঢাল হয়ে আছে স্বৈরাচার আমলের কিছু শীর্ষ মাদক কারবারি। স্বৈরাচার আমলের কারবারিদের ঢাল হয়েছে কিছু বিএনপি নামধারী কুলাঙ্গার।

শ্রীধরপুর অপর শীর্ষ ইয়াবা ও গাঁজার পাইকারি বিক্রেতা আলমাস।বিগত সময় বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এবং স্হানীয় শত শত ক্ষুব্ধ জনতা মাদক কারবারি দের ঘড় বাড়ি তল্লাশি কালে শ্রীধরপুর দীঘির পাড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে শীর্ষ মাদক কারবারি কালাচান কে মাদকসহ পুলিশে সুর্পদ করা হয় অপর মাদক ব্যবসায়ী আলমাস শ্রীধরপুর কবরস্থান সংলগ্ন তার ভাড়া বাসা হতে পালিয়ে গেলেও তার বাড়ি হতে বিপুল পরিমাণ মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।সরকার পতনের পর ফের হঠাৎ করে শ্রীধরপুর এলাকায় এসে পাইকারি এবং খুচরা গাঁজা এবং ইয়াবার ব্যবসা শুরু করেন বলে জানা গেছে।
বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল মাদক নির্মুল করা। সেই অনুযায়ী নির্বাচনে পাশ করার পর সমাজের সচেতন লোকজনদের সাথে নিয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই এবং কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরে পুলিশে সোর্পদ করি। ১৪দিনের মাথায় তারা আবার চলে আসে। এখন লোকজনদের বললে তারা জানায়, এত তাড়াতাড়ি মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেল, আবার যদি আমরা তাদের ধরে দেই তাহলে আবার চলে আসবে এবং আমরা রাত বিরাত একা চলাফেরা করি। কখন জানি আবার তারা আমাদের উপর আক্রমন করেন।কারন মাদক ব্যবসায়ীদের চেয়ে আমরা সংখ্যায় কম। তবে প্রশাসনের সার্বিক সহায়তায় এলাকাবাসিসহ আমরা মাদক নির্মুল করতে সক্ষম হবে।