ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ দাখিল


ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অভিযোগ দাখিল
রাজধানীর মিরপুর দারুসসালাম থানাধীন গাবতলীর পাশের গ্রাম গৈদারটেক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালিন, এখানে রাজত্ব কায়েম করেন ১০ নং ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর আবু তাহের এবং তার সহযোগীরা, ভূমিদখল মাছের ঘের দখল, দোকানপাট দখলসহ গাবতলী স্টান্ড নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে সাবেক কাউন্সিলর আবু তাহেরের বিরুদ্ধ।
৫ই আগস্টের পর কাউন্সিলর আবু তাহেরের সঙ্গে চলাফেরা করা একটা আংশ ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি.র সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেদের দাবি করছে এবং এলাকার সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে আওয়ামী ট্যাগ সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।
এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহবায়ক আমিনুল ইসলাম এর কাছে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগে সাবেক কাউন্সিলর আবু তাহের ও আওয়ামীলীগের দোসরদের বিচার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
অভিযোগ তারা বলেন আমরা দারুস সালাম থানাধীন ১০নং ওয়ার্ডের অর্ন্তভূক্ত গৈদারটেক এলাকার বাসিন্দা তাছাড়া আমরা ঢাকা-১৪ আসনের অর্ন্তভূক্ত।
আমাদের এলাকার শতকরা ৮০ ভাগ লোক বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হল গত ১৬ বৎসর স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের আমল হতে একটি পরিবার আবু তাহের ঢাকা ১০নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর ও তার ভাই আবু রায়হান, আবু সালাম, আবু জামাল, সকলের পিতা- মৃত মলিউর রহমানদের অত্যাচারে গৈদ্দারটেকবাসী অনেক কষ্টে জীবনযাপন করিতেছে।
কিন্তু গত ৫ই আগষ্ট/২০২৪ গণঅভস্থানের পর থেকে এলাকাবাসী তাদের অত্যাচার থেকে কিছুটা রেহায় পায়।বর্তমানে তারা পলাতক থাকা অবস্থায়ও তাদের দোসরগন শান্তি প্রিয় ব্যক্তিবর্গদের উপর (যারা বিএনপি এর সমর্থন)
তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার অভিযোগ করছেন তাদের মধ্যে নিম্নের ব্যক্তিগন আছেনঃ ১। আব্দুল মজিদ হারান, পিতা-মৃত হাজী আব্দুল খালেক, গৈদারটেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সহ-সভাপতি,২। তাহমিনা আক্তার মিনা, স্বামী-মোঃ মাইনুল ইসলাম (সাবেক কাউন্সিলর ছোট বোন), ৩। মিসেস রুনা, পিতা-মৃত: মলিউর রহমান (সাবেক কাউন্সিলর ছোট বোন), ৪। ইশরাত জাহান অনামিকা, স্বামী-আবু তাহের (সাবেক কাউন্সিলর), ৫। মোঃ নান্টু মিয়া, পিতা-মৃত: আনসার আলী, ৬। মোঃ মন্টু মিয়া, পিতা- মৃত: আনসার আলী, ৭। মোঃ মনির হোসেন, পিতা- আনোয়ার হোসেন, ৮। মাকসুদা বেগম, স্বামী- আবু সাঈদ, ৯। শ্রাবন চাকমা, স্বামী- মনির হোসেন, ১০। মোঃ ফারুক, পিতা- আঃ ছাত্তার, ১১। মোঃ সিদ্দিক, পিতা- আঃ ছাত্তার, ১২। রিপন হোসেন বাবু, পিতা-মৃত আব্দুর রহিম, ১৩। মোঃ সুমন, পিতা-দীন ইসলাম, ১৪। মোঃ মামুন, পিতা জানু মিয়া, ১৫। মোঃ আমজাদ, পিতা- আব্দুল আউয়াল, ১৬। মোঃ জিহাদ, পিতা-আবু সাঈদ, ১৭। ববি বেগম, স্বামী-মোঃ ফারুক।
উপরোক্ত ব্যক্তিরা সবাই আওয়ালীগের দোসর আবু রায়হান, সাবেক কাউন্সিলর আবু তাহের, আবু সালাম ও আবু জামান এর পক্ষ হয়ে এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তিদের বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়ারানি করছেন । ( বিস্তারিত আগামী পর্বে)।