ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ হতাশ জেলেরা


বর্তমান সময়ে তথা চলতি মৌসুমেও ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের জালে মিলছে না ইলিশ। নদীতে কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ জেলেরা। অনেকে নদীতে যাওয়া ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে নিয়োজিত হয়েছেন। বিভিন্ন এনজিও’র ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপে অনেক জেলে নৌকা, জাল ও ট্রলার ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন।
এই পরিস্থিতিতে এনজিও এবং মহাজনের ঋণের বোঝা বইতে না পেরে অনেক জেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন।
একসময় ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের নৌকা ইলিশে বোঝাই হয়ে ঘাটে ফিরত, তাদের মুখে থাকত হাসি। কিন্তু সেই সোনালী দিন এখন অতীত। বর্তমানে দিনভর জাল ফেলে সামান্য মাছও পাচ্ছেন না জেলেরা। আয় না থাকায় স্থানীয় মহাজন ও এনজিওর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে গিয়ে তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
জেলেরা জানান, আগে মৌসুমে একদিন নদীতে নামলে পাঁচ থেকে সাত মণ ইলিশ পাওয়া যেত, কিন্তু এখন দিনের পর দিন নদীতে থেকেও মাছ মিলছে না। তারা এর জন্য অবৈধ জাল ব্যবহার করে অসাধু জেলেদের রেণু পোনা নিধনকে দায়ী করছেন।
জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, এমন পরিস্থিতিতে প্রকৃত জেলেদের একটি সঠিক তালিকা তৈরি করে তাদের সরকারি সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে এই পেশা টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে।
অন্যদিকে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নদীর মোহনায় পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক কারণে নদীতে ইলিশের আনাগোনা কমে গেছে।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভোলায় নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখ ৭১ হাজার এবং অনিবন্ধিত জেলের সংখ্যা এক লাখেরও বেশি। এই বিশাল সংখ্যক জেলের জীবন এখন ইলিশ সংকটের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।